জঙ্গলমহল খাতড়া

বাঁকুড়ায় প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের থেকে সভাধিপতি নির্বাচিত হলেন মৃত্যুঞ্জয় মূর্মু । জঙ্গল মহলে খুশীর হাওয়া।

বাঁকুড়ায় প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের থেকে সভাধিপতি নির্বাচিত হলেন মৃত্যুঞ্জয় মূর্মু । জঙ্গল মহলে খুশীর হাওয়া।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ধামসা মাদলের বোল! পাতা নাচের তাল! আর বাঁশির সুরের মূর্চ্ছনায় শপথ নিলেন বাঁকুড়া জিলা পরিষদের নব নির্বাচিত সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মূর্মু।

জেলায় এই প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত কোন ব্যক্তির জিলা পরিষদের পদে অভিষেক হল। ফলে,স্বভাবতই খুশী জেলার জঙ্গল মহল।

আদিবাসী রীতি মেনে ধামসা,মাদল সহযোগে, পাতা নাচের মধ্য দিয়ে আদিবাসী সমাজের নারী, পুরুষেরা তাকে শপথ মঞ্চে বরন করে নিলেন।

মঞ্চে এই নাচের তালে কোমর দোলালেন অন্যন্য নেতা ও জন প্রতিনিধিরাও।

সদ্য শপথ নেওয়া সভাধিপতিও হাতে ঝুমঝুমি নিয়ে নাচের সাথে কোমর দোলালেন। আর, সহ সভাধিপতি শুভাশীষ বটব্যাল আবার নিজের গলায় মাদল তুলে নিয়ে বোল তুলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। নুতন সভাধিপতিও সহ সভাধিপতির সাথে এক প্রস্ত নেচেও নেন জেলার তৃণমূল সভাপতি অরুপ খাঁও।

শহরের কলেজ রোডের জিলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গন জুড়ে আাদিবাসী ধামসা,মাদলের মূর্চ্ছনায় পা মেলালেন গ্রাম থেকে আসা দলীয় কর্মী, সমর্থকরাও।

এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জিলার বিধায়ক গন, দলের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সাংসদ সৌমিত্র খান, জেলাশাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস , পুলিশ সুপার কোটেশ্বররাও, এন সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জিলা পরিষদের

সদস্যরাও।

প্রসঙ্গত এই প্রথম জিলা পরিষদের সব আসন তৃণমূলের দখলে যাওয়ায় কোন বিরোধী দল নেতাও থাকছে না।

এদিন শপথ গ্রহণের আগে ছিল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজনও।

নুতন সভাধিপতি, ও সহ সভাধিপতির দাবী জেলার সার্বিক উন্নয়ন ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের সাফল্যের তালিকায় বাঁকুড়ার স্থান শীর্ষে রাখার কাজটাকেই নুতন বোর্ড সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবে। প্রাধান্য থাকবে জঙ্গল মহলের উন্নয়নেও।

#দেখুন ভিডিও।[embed]

Next Story