ব্রেকিং নিউজ

লোকগানকে বাঁচিয়ে রাখতে এই প্রথম গ্রামীন কর্মশালার আয়োজন পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের। জেলার রতনপুরে চলছে পাঁচ দিনের এই কর্মশালা।

লোকগানকে বাঁচিয়ে রাখতে এই প্রথম গ্রামীন কর্মশালার আয়োজন পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের। জেলার রতনপুরে চলছে পাঁচ দিনের এই কর্মশালা।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নেট সংস্কৃতির দাপটে কদর হারাতে বসেছে গ্রাম বাংলার লোক গান! অথচ, এই লোক গানে সুর,লয়,ছন্দ,কথার বাঁধনি এবং সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার মুন্সিয়ানা দেখিয়ে লোক সঙ্গীত শিল্পীরা এক সময় সারা বাংলায় দাপিয়ে বেড়াতেন।

স্থানভেদে লোক গানের আঙ্গিকেও ছিল বৈচিত্র্য। আর সেটাই ছিল এই গানের ইউ,এস,পি তা,ভাদু,টুসু থেকে ভাওয়াইয়া হোক বা বাউল,কীর্ত্তন,কবিগান থেকে ভাটিয়ালি,ঝুমুর,

গম্ভীরা বা মনসা মঙ্গলই হোকনা কেন, নিজের "নিজস্বীতেই"- গান গুলো লোকজনের মনোরঞ্জনের খোরাকের যোগান দিয়ে আসছে যুগ,যুগ ধরে।

এবার এই লোক গানের বিশাল সম্ভার টিকিয়ে রাখতে ও এক জায়গার লোক গান অন্য জায়গায় প্রচার করার লক্ষ্যে পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এই প্রথম জেলায়,জেলায় গ্রাম ভিত্তিক কর্মশালা করার কর্মসূচি নিয়েছে।

বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রতনপুরে স্থানীয় স্বরস্বতী ক্লাবের সহযেগিতায় সোমবার থেকে পাঁচ দিনের এই কর্মশালা শুরু হয়েছে হয়েছে।মূলত লোক গানের বিভিন্ন আঙ্গিকের সাথে পরিচয় ঘটানো,আঙ্গিক গুলির আদান প্রদানের মাধ্যমে লোক গানের প্রচার ও প্রসার বাড়াতেই এই কর্মশালা।

এখানে ৪০ জন অংশ নিয়ে লোকগানের চর্চা করছেন। কর্মশালার শেষে, এই লোকগান গ্রামে,গঞ্জে ছড়িয়ে দেবেন তারা,তাহলেই লোক গান ফের জনপ্রিয়তা ফিরে পাবে। এমনটাই মনে করছেন উদ্যোক্তারা। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের পড়ুয়া মহাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন, তেমনি লোক গানের টানে প্রান্তিক চাষী চিত্তরঞ্জন মহাপাত্রও মাঠের কাজ ফেলে এখানে যোগ দিয়েছেন।তারা সকলেই লোক গানকে বাঁচিয়ে রাখার আন্দোলনটা চালিয়ে যেতে চান।আর সেই কাজের রসদ যোগাচ্ছেন, এই কর্মশালার প্রশিক্ষক বিশিষ্ট বেতার লোক সঙ্গীত শিল্পী স্বপন মুখোপাধ্যায়।

তিনি বলেন,লোক গান হল দেশের সম্পদ।কোন দেশের সংকৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে লোকগানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই লোক গানের সংরক্ষণের প্রয়োজন। সেই কাজটার শুরু এই কর্মশালা থেকে।

গ্রামীন এই কর্মশালার শেষে যদি এই ৪০ জন শিল্পী লোকগান কে ছড়িয়ে দিতে পারেন তাহলেই কাজটা সহজ হয়ে যাবে।

তার আরও অভিমত এখন চর্চার অভাব ও লোক শিল্পীদের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় অনেকেই এই গানের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। কিন্তু, এক সময় লোক শিল্পীরাও অন্যগানের শিল্পীদের মতোই সমান সম্মান পেতেন। সেই জায়গাটার পুনরায় ফিরে পেতেই আমাদের মতো লোক সঙ্গীত শিল্পীরা এই কর্মশালার মাধ্যমে গ্রামীণ শিল্পীদের হাতে লড়াই চালানোর রসদ তুলে দিচ্ছি। বাকী কাজটা তারা ঠিকঠাক করলেই আবার লোক গান নিজের গরিমা ফিরে পাবে।

#দেখুন ভিডিও।[embed]

Next Story