ব্রেকিং নিউজ

পরিদর্শনের পর, হাসপাতালের হাল ফেরাতে জেলাশাসকের রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে,শোকজের নোটিশ তালডাংরায় বিএমওএইচ, টেকনিশিয়ানস ও সাফাই কর্মীদের, শালতোড়াতে বিএমওএইচ এবং একাধিক স্বাস্থ্য কর্মী বদলী।

পরিদর্শনের পর,  হাসপাতালের হাল ফেরাতে জেলাশাসকের রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে,শোকজের নোটিশ তালডাংরায় বিএমওএইচ, টেকনিশিয়ানস ও সাফাই কর্মীদের, শালতোড়াতে  বিএমওএইচ এবং একাধিক  স্বাস্থ্য কর্মী বদলী।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকের বদলে গ্রুপ ডি'র কর্মীর চিকিৎসা করার ঘটনা সহ নানা অনিয়ম জেলাশাসক হাতে,নাতে ধরে ফেলেন।

সেই,রিপোর্ট পেয়েই এবার নড়ে চড়ে বসলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা!

জেলার হাসপাতাল গুলোর হাল ফেরাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

বিএমওএইচ থেকে টেকনিশিয়ান, এমনকি গ্রুপ ডি'র কর্মী ও সাফাই কর্মীদের কয়েকজনকে যেমন কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হল,তেমনি বেশ কয়েক জন কে অন্যত্র বদলী করল স্বাস্থ্য দপ্তর।

এই ঘটনার জেরে জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরর ও হাসপাতালগুলিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরোদমে!

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন হোমিওপ্যাথির ডাক্তার গর হাজির। তার জায়গায় এক গ্রুপ ডি'র কর্মী চিকিৎসা করছেন।

তখনও হাসপাতালে পৌঁছন নি এক্স -রে ও ইসিজি টেকনিশিয়ানরা। অনুপস্থিত ছিলেন বিএমওএইচও।

এই ঘটনার পর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে রিপোর্ট পাঠান জেলাশাসক।

রিপোর্ট যায় জেলার শালতোড়া গ্রামীণ হাসপাতালের অপরিষ্কার পরিবেশ ও বেনিয়মেরও । সেই রিপোর্টি পাঠানো হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে।

তার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা।

জানা গেছে, তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অর্চনা কুন্ডু, হোমিও চিকিৎসক, গ্রুপ ডি'র এক কর্মী এবং দুই টেকনিশিয়ান কে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

রাজ্য দপ্তরের নির্দেশে এই হাসপাতালের ৪ জন সাফাই কর্মীকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

পাশাপাশি,শালতোড়ার বিএমওএইচ কে সিমলাপালে বদলী করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এছাড়া শালতোড়ার ৭ জন গ্রুপ ডি'র কর্মী ও ৩ জন সাফাই কমীকেও অন্যত্র বদলী করা হয়েছে।

জেলার প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন, এবার কর্ম সংস্কৃতির বেহাল অবস্থা নজরে পড়লেই, কর্মীদের জবাবদিহি করতে হবে, তা কর্মীরা টের পেলেই, ফাঁকিবাজী বন্ধ হবে।

সে, যে দপ্তরই হোক না কেন!

তাই,জেলা শাসকের এই হটাৎ হানাই এখন জেলার কর্ম সংস্কৃতির বেহাল রোগ সারানোর মহাওষুধ হিসেবে কাজ দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে !

অন্যদিকে, জেলাশাসক ডাঃ উমা শঙ্কর এস হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে যে আঁখো দেখি হাল দেখেছিলেন তা তিনি জানান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে।

তার জেরেই এই ব্যবস্থা নেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা,তা বলাই বাহুল্য!

Next Story