নিম গাছ থেকে জলের ঝর্ণা! এই জল বোতল বন্দি করতে উপচে পড়চে ভীড়!কেন ঘটছে এমনটা?জেনে নিন।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (প্রসেনজিৎ রায়,ছাতনা) : নিম গাছ থেকে আবিরত ঝরে পড়ছে জল! আর এই জলের ঝর্ণা থেকে জল বোতল বন্দি করতে উপচে পড়ছে মানুষের ভীড়! নিম স্বাদে তেতো হলেও এই জলের স্বাদে তিতকুটো ভাব গায়েব! আর এতেই এই নিম গাছের জলে কোন দৈব শক্তি রয়েছে এমন ধারণা থেকে আসে পাশের গ্রাম থেকেও ভীড় জমাচ্ছেন মানুষজন। বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের কমলপুর মেন রোডের শালুনী আর কাঁটাপাহাড়ীর মাঝখানে রয়েছে এই আশ্চর্য নিম গাছটি। দিনভর এই গাছথেকে ঝরে পড়া জল ভরে রাখলে তা মহা ওষুধ হিসেবে কাজে লাগবে এমন বিশ্বাস এখন ছড়িয়ে পড়ছে পুরোদমে। তবে এমনটা এই গ্রামের মানুষ প্রথম দেখছেন ঠিকই। কিন্তু এটা নুতন কিছু নয়। আসলে এমনটা ঘটার পিছনে যে কারণটা রয়েছে তা হল নিম গাছের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের কারণে ঘটে এমন একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসাবে এই ঘটনাটিকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করে থাকেন। তাদের মতে “নিম গাছটি বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের কারণে, গাছের টিস্যুগুলি অতিরিক্ত জল সঞ্চয় করতে শুরু করে।যা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এগ্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউমফেসিয়েন্স নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে গাছের কাণ্ডে টিউমার তৈরি হয়। যখন বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা বেশি থাকে, তখন এই টিউমারগুলির টিস্যু দুর্বল হয়ে যায় এবং ফাটল ধরে যায়, যার ফলে তরল স্রাব নির্গত হয়। এই তরল অবিচ্ছিন্নভাবে চার থেকে ছয় দিন পর্যন্ত টিউমার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। এই নিম গাছটিতেও এমনটাই ঘটেছে। তাই এই ঘটনা কোনও অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নয় এবং সাধারণত যখন গাছের বয়স ৫০ বছর বা তার বেশি হয় তখন এমন ঘটনা ঘটার নজীর দেশে প্রচুর রয়েছে। কিন্তু কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দুর! তাই সের্ফ বিশ্বাসের ওপর ভর করেই এই মিরাকেল নিম গাছের মাহাত্ম্য প্রচার হতেই জল বোতল বন্দি করার হিড়িক পড়ে গেছে পুরোদমে।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]