বাঘ নয়!পায়ের ছাপ বাঘিনীর?জোরালো হচ্ছে আশঙ্কা। যাচাইয়ে, বারিকুলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসাচ্ছে বন দপ্তর।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঘ নয়, এই পায়ের ছাপ বাঘিনীর? এমন আশঙ্কা জোরালো হওয়ায় এবার তা যাচাইয়ে বারিকুলে বসছে ট্র্যাপ ক্যামেরা। প্রয়োজনে পাতা হবে খাঁচাও। এমনটাই খবর মিলেছে রাজ্যের বন দপ্তর সুত্রে। সম্ভবত সোমবারই কলকাতা থেকে বন দপ্তরের বিশেষ দল পোঁছে যাবে বারিকুল। এই টীমে সুন্দরবন ও উত্তরবঙ্গের দুটি দল থাকছে বলে জানা গেছে। এবং দুপুর নাগাদ তারা তাদের কাজ শুরু করবে। এবারও লালগড়ের তত্ত্ব ব্যবহার করে প্রথমে ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি বন্দি করতে চাইছে বন দপ্তর। তবে লালগড়ের পিটিয়ে বাঘকে মেরে ফেলার ঘটনা পূনরায় যেন আর না ঘটে সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বন দপ্তর। তাই এবার মরা নয়! জ্যান্ত বাঘবন্দির কৌশল নিয়েছে তারা। এই অবস্থায় বাঘ কে বাগে পেলে ঘুম পাড়ানি গুলি করা হবে বলেও বন দপ্তর সুত্রে খবর। এদিকে বারিকুলের খেজুরখান্না গ্রামে আজও মানুষজন বাঘের আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন। গ্রামের মানুষ কেও,কেও বাঘের উপস্থিতি টের পেয়েছেন বলেও দাবী করছেন। আর এমনটা যে সত্যি তার বড়ো প্রমাণ এই পায়ের ছাপ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ছাপে বাঘিনীর পয়ের ছাপের মিল রয়েছে। দেখে নিন এক নজরে বাঘ ও বাঘিনীর পায়ের ছাপের বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশি শাবকেরও কয়েকটি পায়ের ছাপ রয়েছে জমিতে। ২০১৮ তে লালগড়ে একটি বাঘকে পিটিয়ে মেরে ফেলে হয়েছিল। সেই বাঘের সাথেই এই বাঘিনী থাকত এমন দাবীও জোরালো হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ তে এজেলার সারেঙ্গার পীঠাবাকড়াতে বাঘের উপস্থিতি চিহ্ণিত করতে ড্রোন উড়িয়েও বন দপ্তর বাঘের হদিস করতে পারেনি। এবার শেষ পর্যন্ত বাঘ থুড়ি বাঘিনীকে শেষ অবধি বন দপ্তর বাগে আনতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার। সেই সাথে লালগড়ের মতো বাঘের গণ পিটুনি এজেলাতেও ঠেকানোটা বড়ো চ্যালেঞ্জ বন দপ্তরের কাছে তা বলাই বাহুল্য।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]