জঙ্গলমহল খাতড়া

প্রায় ১৪ বছর পর তৃণমূল নেতা খুনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র।

বিধানসভার সহকারী সচিব আদালতকে জানিয়েছেন,খুনের ঘটনার দিন বেলা ১১টায় মনোরঞ্জন পাত্র বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের পর্যবেক্ষণ কলকাতা থেকে সুদুর তালডাংরার রাজপুর গ্রামে বিকেল নাগাদ উপস্থিতি হওয়া সম্ভব নয়।তার ভিত্তিতেই উচ্চ আদালত মমনোরঞ্জন পাত্রের জামিন মঞ্জুর করে।

প্রায় ১৪ বছর পর তৃণমূল নেতা খুনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : প্রায় ১৪ বছর আগের তৃণমূল নেতা খুনের মামলায় সিপিএমের তালডাংরা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রকে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট।বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তারপর তিনি ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ মনোরঞ্জন বাবুর জামিন মঞ্জুর করেন।মনোরঞ্জন বাবুর আপাতত জামিন মঞ্জুর করা হলেও তাার বিরুদ্ধে যে সাজা ঘোষণা হয়েছিল, সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে ইচ্ছুক নন বিচারপতিরা।

তবে,ওই মামলার শুনানি পরে হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৯ জুন বিকেল ৫টা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন তালডাংরার এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইয়াজুল রহমান খান ওরফে মদন খান। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মনোরঞ্জন বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২২ সালে ওই মামলায় মনোরঞ্জন বাবুকে দোষী সাব্যস্ত করে বিধাননগরের এমপি,এমএলএদের জন্য নির্দিষ্ট আদালত। নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যানবমনোরঞ্জন পাত্র। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় মনোরঞ্জন বাবুর হয়ে হাইকোর্টে মামলা লড়েন।

বিধানসভার সহকারী সচিব আদালতকে জানিয়েছেন,খুনের ঘটনার দিন বেলা ১১টায় মনোরঞ্জন পাত্র বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের পপর্যবেক্ষণ কলকাতা থেকে সুদুর তালডাংরার রাজপুরে বিকেল নাগাদ উপস্থিতি হওয়া সম্ভব নয়।তবে,এই মামলার সাক্ষী মনোরঞ্জন বাবুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। সবরকম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আদালত মনোরঞ্জন বাবুর জামিন মঞ্জুর করে।প্রসঙ্গত, বিচারপ্রক্রিয়া কালীন এর আগে এক বার জামিন পেয়েছিলেন এই সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক।মনোরঞ্জন পাত্র বর্তমানে সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য।

পাশাপাশি,পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের বাঁকুড়া জেলার সভাপতির দায়িত্বেও আছেন তিনি। তালডাংরা বিধানসভার তিবারের বিধায়ক ছিলেন মনোরঞ্জন পাত্র।

Next Story