মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীর ওপর হামলা,ধৃত ৫ বিজেপি কর্মীর ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত, খাতড়া জুড়ে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।
খোদ মন্ত্রীর স্বামীর ওপর এই হামলার ঘটনা জেলার জঙ্গলমহল জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।পাশাপাশি,জেলার রাজনৈতিক মহল জুড়েও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুয়ারে বিধানসভা ভোট। তার আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ যে উর্দ্ধমুখী তা বলাই বাহুল্য।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডির ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহকুমা শহর খাতড়ায় চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এই হামলার ঘটনায় ধৃত ৫ বিজেপি কর্মীদের আজ খাতড়া মহকুমা আদালয়ে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে,জানা যাচ্ছে, জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন বাবুর পিঠে ও ডান হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এবং গতকাল সন্ধ্যায় খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির অভিযোগ,বিজেপির কর্মীরা গতকাল সন্ধ্যায় স্বামীর ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। এবং নির্বিচারে লাঠির বাড়ি মারে। লাঠির আঘাতে তাঁর স্বামী গুরুতর আঘাত পান। খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাও করানো হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মুদিখানায় জিনিস পত্র কিনতে বেরিয়ে ছিলেন স্বামী তুহিন বাবু।সেই সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। জ্যোৎস্না দেবী বলেন,স্বামী কোন রাজনৈতিক কাজে যুক্ত নন,সভা,সমিতি বা দলীয় প্রচারেও তিনি থাকেন না,তাই তার ওপর বিজেপির এই হামলা নিন্দানীয়। এবং তিনি এই হামলার দায় সারাসরি চাপান বিজেপির ওপর। তিনি বলেন,প্রায় ১৫-১৬ জনের একটি দল তার স্বামীর ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির স্থানীয় নেতা তথা বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দীপক দাস জ্যোৎস্না দেবীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পালটা দাবি করে বলেন, খাতড়া বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী বিজেপির কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এর জেরে দুই পক্ষই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ মোতায়েন করা হয়। র্যাফ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। সেই লাঠির আঘাতে বা তৃণমূলের কোন কর্মীর লাঠির আঘাতে অর্থাৎ সেম সাইডে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন তুহিন বাবু। এর সাথে বিজেপির কোন যোগসূত্র নেই। এদিকে,পুলিশ এই হামলার ঘটনায় ধৃত ৫ বিজেপি কর্মীকে শনিবার খাতড়া মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। খোদ মন্ত্রীর স্বামীর ওপর এই হামলার ঘটনা জেলার জঙ্গলমহল জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।পাশাপাশি,জেলার রাজনৈতিক মহল জুড়েও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুয়ারে বিধানসভা ভোট। তার আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ যে উর্দ্ধমুখী তা বলাই বাহুল্য।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇
