জঙ্গলমহল খাতড়া

চলে গেলেন নোয়াডিহির পট গুরু মুচিরাম চিত্রকর,জেলার পট শিল্পের এক অধ্যায়ের অবসান।

চলে গেলেন বাঁকুড়ার নোয়াডিহির প্রবীণ পট শিল্পী মুচিরাম চিত্রকর। তার হাত ধরেই জঙ্গলমহলের এই গ্রামে অনেক পটুয়া উঠে এসেছেন। মুচিরাম নোয়াডিহির পট শিল্পের একটা নিজস্ব ঘরানা গড়ে তুলেছিলেন। তার পট চিত্রের সরল ও সাবলীল আঙ্গিক এবং পট গানের সহজ কথ্য ভাষার ব্যবহার পট বর্নানায় প্রানের সঞ্চার করত। এমন এক শিল্প গুরুকে হারিয়ে আজ শোকে কাতর পটুয়াদের গ্রাম নোয়াডিহি।

চলে গেলেন নোয়াডিহির পট গুরু মুচিরাম চিত্রকর,জেলার পট শিল্পের এক অধ্যায়ের  অবসান।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জীবন সায়াহ্ণে এসেও থেমে থাকেনি অশিতীপর পট শিল্পীর সৃজন।দরিদ্র কে নিত্য সঙ্গী করে অসুস্থ শরীরেও একেঁ গিয়েছেন পট চিত্র। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে শরীর আর সায় দিচ্ছিল না। তবুও মন পড়েছিল পটেই।শেষে সব শিল্প সৃষ্টিকে রেখে নিজেই পাড়ি দিলেন চির ঘুমের দেশে। বার্ধক্যজনিত রোগ ভোগে আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রাণ হারালেন প্রবীণ পট শিল্পী মুচিরাম চিত্রকর। নিসন্তান এই শিল্পী বর্তমানে রেখে গেলেন তার স্ত্রী কাজল চিত্রকর কে।মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। এই শিল্পীর পট নানা জায়গায় প্রশংসা কুড়িয়েছে। কয়েক বছর আগে তিনি দিল্লিতেও পট প্রদর্শন করতে গিয়েছিলেন। জীবদ্দশায় এই শিল্পী অভিব্যক্তি পুরস্কার ও বনলতা পরিবার পুরস্কারে ভূষিত হন।

তার এই চলে যাওয়ায় আসলে নোয়াডিহি তাদের অভিভাবককে হারাল। পট গুরুকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান এই গ্রামের নুতন প্রজন্মের পটুয়ারা।

বাংলার পট শিল্পে নানা ধারা ও ঘরানা বিদ্যমান। একদা পুরুলিয়ার পিড়রা গ্রাম থেকে বাঁকুড়ার হীড়বাঁধের নোয়াডিহি গ্রামে এসে পট আঁকা শুরু করেন মুচিরাম। ধীরে,ধীরে নিজের সৃজনশৈলীতে নোয়াডিহির পটে তার নিজস্ব আঙ্গিকে একটা আলাদা ঘরানার সৃষ্টি করেন। তা সমাদৃতও হয় শিল্প বোদ্ধাদের কাছে। নোয়াডিহির পটুয়ারা তাদের পট গুরু মুচিরামকে হারালেও তার এই পটের ঘরানা বাঁচিয়ে রেখে শিল্পের মাধ্যমেই শিল্প গুরুকে সম্মান জানানোর অঙ্গিকার করেছেন। রাঢ় বাংলা তথা বাঁকুড়ার এই লোক শিল্পীর প্রতি আমরাও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আর তার পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনাও।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story