জঙ্গলমহল খাতড়া

বোলপুর থেকে বাঁকুড়ার বারিকুলে মাও বৈঠকে যোগ,গ্রেপ্তার টিপু ও অর্কদীপ,ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত।

বোলপুর থেকে বাঁকুড়ার বারিকুলে মাও বৈঠকে যোগ,গ্রেপ্তার টিপু ও অর্কদীপ,ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : রাজ্যের জঙ্গলমহল জুড়ে এবার নতুন করে সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তোলার কৌশল নিয়েছে মাওবাদীরা। সেই মতো একদা মাও অধ্যুষিত হিসেবে তকমা পাওয়া থানা এলাকাগুলিতে পোস্টার সাঁটানো এবং ছোট, ছোট সাংগঠনিক বৈঠক করার কর্মসুচীও নেয় তারা। বাঁকুড়ার বারিকুলে গত ২৭ শে জানুয়ারি মাও পোস্টার সাঁটাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শিবু মূর্মু নামে এক সন্দেহভাজন মাওবাদী এবং তার এক সঙ্গী।পুলিশের দাবী, ওই দিনই বারিকুলের একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে মাওবাদীদের বৈঠকও হয়েছিল। ওই বৈঠকে বোলপুর থেকে হাজির হয়েছিল টিপু সুলতান ওরফে মোস্তফা কামাল ও অর্কদীপ গোস্বামী। মাও যোগের অভিযোগেএই দুই যুবককে এর আগেও গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।


২০১৮ সালে টিপু ও অর্কদীপ কে গ্রেপ্তার করে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ।২০১৯ এ টিপুকে ফের গ্রেপ্তার করে পশিম মেদিনীপুর পুলিশ। ফের ২০২১ সালে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ইউএপিএ আইনে তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে এই গ্রেপ্তারি ছিল ২০১৬ সালের একটি পুরানো মামলায়।তবে, দুই জন এখন জামিনে মুক্ত হিসেবে বাড়িতেই ছিল বলে জানা গেছে।পুলিশের দাবী তারই ফাঁকে ইদানিং এরা জঙ্গল মহলে মাও কার্যকলাপ চালাচ্ছিল।এবং বারিকুলে এসে মাওবাদী বৈঠকে যোগও দিয়েছি।তা নিশ্চিত হতেই টিপু ও আর্কদীপকে রবিবার সকালে বোলপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।রবিবার রাতেই কড়া নিরাপত্তায় ধৃত টিপু ও অর্কদীপকে আনা হয় বারিকুল থানায় এবং আজ খাতড়া মহকুমা আদালতে তাদের তোলা হয়।

পুলিশ ১০ দিনের জন্য হেপাজতে নেওয়ার আবেদন করলেও বিচারক ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন বলে জানান সরকারি কৌঁসুলি সন্দীপ চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত,বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী টিপু সুলতান এখন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাঠ নিচ্ছেন। পাশাপাশি,এলআইসি এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। এবং একটি প্রিমিয়াম কালেকশন সেন্টারও চালান। অন্যদিকে, অর্কদীপ টিপুর ছায়া সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। পুলিশ এর আগে মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার ঘটনায় টিপু ও আর্কদীপ কে এক জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করে ছিল। এবার বারিকুলের মাও বৈঠকে তারা দুজনেই উপস্থিত ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই বারিকুল থানার পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে বারিকুলের এই মাও বৈঠকের বিষয় বস্তু এবং তাদের আগামী পরিকল্পনা ঠিক কি রয়েছে তা জানতে ম্যারাথন জেরা চালাবে।

পাশাপাশি বৈঠকে স্থানীয় আর কে,কে হাজির ছিল তা জানার চেষ্টো চালাবে তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে পুলিশ শেষ পর্যন্ত আর কি,কি তথ্য হাতে পায়।তার ওপরই নির্ভর করছে এই মামলাল গতি প্রকৃতি।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story