বাজার-বানিজ্য

জয়পুরের "কুড়চি মালা"- ভিন রাজ্যে পাড়ি দিলেও, ফড়েদের দৌরাত্ম্যে রোজগারে ভাটা শিল্পীদের! উঠছে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবীও।

জয়পুরের কুড়চি মালা- ভিন রাজ্যে পাড়ি দিলেও, ফড়েদের দৌরাত্ম্যে রোজগারে ভাটা শিল্পীদের! উঠছে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবীও।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদনঃ(উত্তম দে,জয়পুর) :- জয়পুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম কলাইডাঙ্গা। এই গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবারের রুজিরুটির ভরসা কুড়চি মালা তৈরী করা।

জঙ্গল থেকে কুড়চি কেটে এনে, দিনভর খাটা-খাটুনির পর নাম মাত্র মজুরী মেলায়,শিল্পীদের সংসারে অনটন নিত্য দিনের সঙ্গী! কিন্তু এখন এই মালা ভিন রাজ্যে রপ্তানি হলেও, কপাল ফেরেনি মনসা,মালার মতো কুড়চি কারিগরদের!

কুড়চির মালার চাহিদা শাড়ীর নানা নকসা তৈরীর কাজে ইদানিং বেড়ে গিয়েছে।

মুম্বাই, গুজরাটেও তাই পাড়ি দিচ্ছে জয়পুরের কুড়চির মালা।অথচ মালা তৈরীর কাজে যুক্ত শিল্পীদের হাল ফেরেনি।কারণ,ফড়েরাই কলকাতা হয়ে ভিন রাজ্যে এই কুড়চির মালা রপ্তানি করে, সিংহভাগ টাকা নিজেদের পকেটে ভরছে।আর, শিল্পীদের নাম মাত্র মজুরী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে!

পেট চালাতে, পরিবারের অন্যান্য মহিলাদের পাশাপাশি, স্কুল পড়ুয়া মেয়েরাও মালা তৈরীতে হাত লাগাচ্ছে। খাটালির তুলনায় রোজগার কম, তার ওপর জঙ্গল থেকে কুড়চি সংগ্রহের সময় সাপ,হাতি,বুনো শুয়োরের হানার আশঙ্কাও রয়েছে, তবুও বেঁচে থাকার তাগিদে কুড়চির মালা গাঁথার বিরাম নেই এই গ্রামে।

শিল্পীরা এখন দিদির সরকারের কাছে সাহায্যের দাবী তুলেছেন।আর, তারা চাইছেন, আধুনিক মানের কুড়চি কাটার মেশিন বসিয়ে মালা তৈরীর উৎপাদন বাড়িয়ে, সরকারী উদ্যোগে ভিন রাজ্যে কুড়চির মালা রপ্তানির ব্যবস্থা করুক সরকার। তাহলে,ফড়ের হাত থেকে বেঁচে গিয়ে এই গ্রামের মালা শিল্পীরা দু পয়সা বেশী উপার্জনের মুখ দেখবে।

এখন দেখার, সেই দাবী আদৌ পূরণ হয় কিনা?

#দেখুন ভিডিও।[embed]

Next Story