ব্রেকিং নিউজ

দীপাবলিতে কালী নয়, কালাবতী গ্রাম মাতে মহা সরস্বতীর আরাধনায় !

দীপাবলিতে কালী নয়, কালাবতী গ্রাম মাতে মহা সরস্বতীর আরাধনায় !
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দীপাবলীতে মহা সরস্বতীর আরাধনায় মাতেন বাঁকুড়ার কালাবতী গ্রাম!

এই গ্রামে দূর্গাপূজোর চল নেই!

তবে, তিনদিন ধরে মহা সরস্বতীর পূজো কার্যত, শারদোৎসবের চেহারা নেয় গ্রাম জুড়ে।

কালীপূজোর দিন থেকে টানা তিনদিন ধরে চলে এই দেবীর আরাধনা।

কথিত আছে,গ্রামের চৌধুরী পরিবারের এক কর্তা রামলাল চৌধুরী বিন্ধ্যাচলের বিন্ধ্য পর্বতে গিয়েছিলেন তীর্থ করতে। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি দেবীর পূজো শুরু করার স্বপ্নাদেশ পান।

এবং প্রথমে ঘটে পূজো শুরু করেন। দেবী ফের স্বপ্ন দিয়ে তার মূর্তি গড়ার আদেশ দেন। সেই আদেশ মতো বাঁকুড়ার বড়জোড়ার নব মিস্ত্রি নামে এক শিল্পীকে দিয়ে মহা সরস্বতীর অভিনব বিগ্রহ তৈরী করান রামলাল বাবু।

সেই সময়টা ছিল বাংলার ১৩৪২ সাল।

সেই থেকে চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা বংশপরম্পরায় এই পূজোর আয়োজন করে আসছেন। সেই সময় পুরেহিত হিসেবে কুমিদ্যা গ্রামের পুরোহিত রামরতন মুখুটী মায়ের পূজোর সূচনা করেন। বর্তমানে ওনার নাতি সুশান্ত মুখুটী পূজো করেন।

এই বিগ্রহের রং থেকে গঠন শৈলীতে রয়েছে অভিনবত্ব। দেবীর আদেশে প্রতিমার রং ঠিক অস্তগামী সূর্য্যের রঙের মতো নীলাভ বর্ণের। দেবী এখানে অষ্টভূজা। আর এই আট হাতে রয়েছে আট অস্ত্র।

তিনি শুম্ভ,নিশুম্ভকে বধরত অবস্থায় রয়েছেন।দেবীর পায়ের নীচে রয়েছে নরমুন্ড। আর, মাথার ওপরে মহাদেব ও নারায়ন বিরাজ করছেন।

দেবীর দুই পাশে ডাকিনী,যোগিনী ও জয়া,বিজয়ার অবস্থান।

কালীপূজোর অমাবস্যা থেকে তিনদিন ধরে এখানে পূজিতা হন মহা সরস্বতী।

কালীপুজোর পরদিন রয়েছে কুমারী পূজোরও চল। আর, এদিন থাকে নরনারায়ন সেবার আয়োজন। হাজার,হাজার ভক্তের সমাগম হয় দেবীর অন্নকূটে ।

চৌধুরী পরিবারের প্রবাসী সদস্যরাও পূজোর তিন দিন গ্রামে ফেরেন। মাতেন উৎসব আনন্দে।

আর, শেষ দিনের বিশেষত্ব বিজয়া দশমীর আদলে সিঁদুর খেলা। তবে, দেবীর বিগ্রহ বিসর্জন দেওয়া হয় না। ঘট বিসর্জন করা হয়। মন্দিরে চলে নিত্যপূজো। প্রতি অমাবস্যায় বিশেষ পূজোর আয়োজন করা হয়।

প্রতি বছর মহালয়ার দিন দেবীর বিগ্রহের বিসর্জন দেওয়ার রীতি রয়েছে এই পূজোয়।

এই গ্রামে দূর্গাপূজে হয়না। তবে চৌধুরী পরিবারের পাশাপাশি,এখন সারা গ্রামের মানুষ জন এই মহা সরস্বতীর আরাধনাতেই শারদোৎসবের আনন্দ পুষিয়ে নেন!

#দেখুন ভিডিও।

[embed]

Next Story