মল্লভুম বিষ্ণুপুর

আলু ব্যবসায় লোকসানে দেনা, জয়পুরে আত্মঘাতী ষাটোর্ধ আলু ব্যবসায়ী।

আলু ব্যবসায় লোকসানে দেনা, জয়পুরে আত্মঘাতী ষাটোর্ধ আলু ব্যবসায়ী।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : চড়া দামে আলু মজুত করে রাখলেও তা থেকে মুনাফার বদলে মোটা টাকা লোকসান হয়েছে। ফলে দেনাও করতে বাধ্য হন জেলার জয়পুরের বৈতল গ্রামের ষাটোর্ধ আলু ব্যবসায়ী বংশীবদন ঘোষ। একে আলুর ব্যবসায় লোকসানের দায়ে দেনা, তার ওপর বাড়ীতে ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ সামাল দিতে গিয়ে পাওনা দারদের কথা মতো টাকা দিতে পারেন নি বংশী বাবু। একে পাওনাদারদের তাগাদা তার ওপর নিজে যাদের আলু বেচে ছিলেন তাদের বকেয়া মেটানোর অনীহার কারণে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন এই প্রবীণ আলু ব্যবসায়ী।

অবশেষে, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নিজের বাড়ীতেই কীটনাশক পান করেন তিনি। সাথে,সাথে তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়বি। চিকিৎসা শুরু হওয়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। এরপর বিষ্ণুপুর হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে হয়। প্রায় দুই দশকের বেশী সময় ধরে আলু ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন বংশী বদন ঘোষ। তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জয়পুরের জরকা ইউনিটের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। মৃতের ভাইপো অমিত ঘোষ বলেন,আলু ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হয়েছে। তার জন্য ধারও করতে হয় জ্যেঠুকে। পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপও দিচ্ছিলেন কিছুদিন ধরে। তাদের টাকা নে মেটাতে পারাটা খুবই আত্মসম্মানে লাগে। অবশেষে তিনি এত্মহত্যার পথই বেছে নেন। তার এই মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। সংগঠনের সহ সম্পাদক বিভাষ দে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে ভয়াবহ লোকসানের সসম্মুখীন হতে হয় আলু ব্যবসায়ীদের। সেই ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে না পারায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হলেন বংশী বাবু।

অন্যদিকে, পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে প্রায় তিন থেকে পাঁচ লাখটাকার মতো দেনে হয়েছিল বলে তারা,মনে করছেন।সেই চাপ সহ্য না করতে পেরেই এমন কান্ড করে বসলেন এই প্রবীণ আলু ব্যবসায়ী। তার তিন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়ীতে রয়েছেন ক্যান্সার আক্রন্ত বংশী বাবুর স্ত্রী। এদিকে মিশুকে সদা হাস্যমুখ বংশীবাবুর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া সারা বৈতল জুড়ে।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story