মল্লভুম বিষ্ণুপুর

নিউ নর্মালে উপভোগ করুন মেলার মজা,পাড়ি দিন মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে।উপরি পাওনা লোক শিল্পের মেলা পসরা।

রয়েছে ডোকরা,টেরাকোটা, বালুচরী শাড়ী থেকে দশ অবতার তাস আর বিষ্ণুপুরের পট শিল্পের সম্ভারও। তাই ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন চলে আসুন ৩৩ বছরের ঐতিহ্যশালী বিষ্ণুপুর মেলায়। যেখানে শিল্পের সৃজন আর বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীতের মূর্ছনায় আপনার মন ভরে যাবে মেলা আনন্দে।

নিউ নর্মালে উপভোগ করুন মেলার মজা,পাড়ি দিন মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে।উপরি পাওনা লোক শিল্পের মেলা পসরা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭ ( বলরাম চক্রবর্তী ও সঞ্জয় ঘটকের যৌথ প্রতিবেদন, বিষ্ণুপুর) : কোভিড সতর্কতার বেড়াজালে ভীড় নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মেলার মজা উপভোগ করার হরেক সম্ভার নিয়ে নিউ নর্মালে ২৩ শে ডিসেম্বর বিকেল থেকে শুরু হল বিষ্ণুপুর মেলা। চলবে আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দিনেই জেলার পাশাপাশি কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটক ও মেলাপ্রেমীরা ভীড় জমাচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গণে। উপভোগ করছেন মেলার মজা।


যদিও,কোভিড আবহের কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব ও কোভিড ঠেকানোর সতর্কতা বিধি মেনে চলার ওপর এবার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মেলা কমিটি। মেলা কমিটির সদস্য সচিব তথা মহকুমা শাসক অনুপ দত্ত জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুলত কোভিড আবহে লোকশিল্পীদের আয়ের সংস্থান করতেই এই মেলার অনুমতি দিয়েছেন। কোভিড সতর্কতা মেনেই মেলায় চলছে বেচা কেনা।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাও এই ঐতিহ্যবাহী মেলা এবার আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। তবে তিনি এই মেলা থেকে শিল্পীদের রুজি,রুটির সংস্থানের জন্য সকলকে লোকশিল্পীদের শিল্প সামগ্রী কেনার অনুরোধ করেছেন।


করোনা আবহেও বিষ্ণুপুর মেলায় আয়োজনে ঘাটতি নেই। বিষ্ণুপুর হাইস্কুল মাঠে যদুভট্ট ও রামানন্দ মঞ্চে সন্ধ্যে থেকে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রয়েছে সরকারী ও বেসরকারী মিলিয়ে প্রচুর কেনাকাটার স্টল। আর মনকাড়া ডোকরা,টেরাকোটা, বালুচরী শাড়ী থেকে দশ অবতার তাস আর বিষ্ণুপুরের পট শিল্পের সম্ভারও। তাই ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন চলে আসুন ৩৩ বছরের ঐতিহ্যশালী বিষ্ণুপুর মেলায়। যেখানে, শিল্পের সৃজন আর বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীতের মূর্ছনায় আপনার মন ভরে যাবে মেলা আনন্দে।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇





Next Story