মল্লভুম বিষ্ণুপুর

এইগ্রামের দুই পাড়ায় এখনও চলছে সরস্বতী বন্দনা,বিশ্বাস পাড়ায় দেবীকে তুষ্ট করতে দ্বাদশীতে নিবেদন করা হবে কাঁঠাল।

এইগ্রামের দুই পাড়ায় এখনও চলছে সরস্বতী বন্দনা,বিশ্বাস পাড়ায় দেবীকে তুষ্ট করতে দ্বাদশীতে নিবেদন করা হবে কাঁঠাল।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (অভিজিৎ ঘটক,রতনপুর) : বাঁকুড়ার রতনপুরের দাস ও বিশ্বাস পাড়ায় এখনও চলছে বাগ দেবীর আরাধনা।বসেছে মেলাও। শ্রী পঞ্চমী থেকে শুরু হয় এই দুই পাড়ার সরস্বতী পুজো চলে শুক্ল দ্বাদশী পর্যন্ত। প্রায় সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশী প্রাচীন এই পুজোর পরতে,পরতে রয়েছে বৈশিষ্ট্য।


এই দুই গ্রামে শ্রী পঞ্চমীতে দেবী সরস্বতী একা আসেন না। সাথে আসেন লক্ষ্মী,গনেশ, কার্তিক ও দেবী ভগবতী। দুর্গা প্রতিমার আদলে একচালায় বিরাজ করেন দেব,দেবীরা। এই গ্রামে দেবী অম্বিকা পুজিতা হন। তাই গ্রামে শারদীয়া দূর্গা পুজো হয়না।কথিত আছে তাই গ্রামের পূর্বপুরুষেরা

এই দুই গ্রামে দুর্গাপূজার বিকল্প হিসেবে এই অভিনব সরস্বতী পুজোর প্রচলণ করেন। সেই থেকে চলে আসছে টানা আটদিনের সরস্বতী পুজো ও মেলা। বিশ্বাস পাড়ায় রয়েছে দেবীকে কাঁঠাল ভোগ নিবেদনের প্রথা। বিশালাকার কাঁঠাল মাথায় করে,ঢাক বাজিয়ে চলে গ্রাম পরিক্রমা।


এরপর দ্বাদশীর দিন এই কাঁঠাল ভেঙ্গে নিবেদন করা হয় দেবীকে।অন্যদিকে, দাস পাড়ার পুজোর রিতী হল অষ্টমঙ্গলার দিন অন্ন ভোগ বিতরন। এই দিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয় দাস পাড়ায়।

সারা বংলায় এমন অভিনব সরস্বতী পুজোর আয়োজন আর কোথাও নজরে পড়েনা। তাই ইচ্ছে হলে আপনিও এই গ্রামে গিয়ে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। আপনার মন মজে যেতে পারে মেলাতেও। যেভাবে রতনপুরের মানুষ এই আটদিনে পুষিয়ে নেন দুর্গাপূজোর আনন্দ। সরস্বতী পুজোর এই আটদিন এই গ্রামে কার্যত শারদীয়ার দুর্গাপূজোর বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇





Next Story