মল্লভুম বিষ্ণুপুর

জমি নিয়ে বিবাদের জের,সামাজিক বয়কটের আদেশ তৃণমূল ব্লক সভাপতির,চরম সমস্যায় ময়নুদ্দিন সেখের পরিবার।

জমি নিয়ে বিবাদের জের,সামাজিক বয়কটের আদেশ  তৃণমূল ব্লক সভাপতির,চরম সমস্যায় ময়নুদ্দিন সেখের পরিবার।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিচারাধীন মামলার সুত্র ধরে বিবাদের জেরে এবার মধ্যযুগীয় ফতোয়া জারির অভিযোগ উঠল খোদ জয়পুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ইয়ামিন সেখের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ইয়ামিন সেখ, জয়পুরের বিক্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়নুদ্দিন সেখের পুরো পরিবারকে সামাজিক বয়কটের ফতোয় জারি করেন। এমনকি পানীয় জল নেওতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফলে এই পরিবারের ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা পর্যন্ত পানীয় জলের অভাবে চরম সঙ্কটে পড়েছে। এছাড়া পুকুর ঘাট,বাজার হাট, সব বয়কটের ডাক দেওয়ায় পুরো পরিবার কি করে খাবার জোটাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।এর আগে,ময়নুদ্দিনের জমিতে চাষবাসও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা জয়পুর থানা ও বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ অফিসারকে লিখিতভাবে জানালেও সমস্যা মেটেনি।

আজ থেকে এই পরিবারটিকে সামাজিক বয়কটের ফতোয়া জারি করা হয়। তারপর থেকে গ্রামবাসীরাও এই পরিবারের ছায়া মাড়ানোর সাহস পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় পুরোবারটি তাদের বাঁচার অধিকার ফিরে পেতে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন।আমরা মানবিকতা লঙ্ঘন হলে তার প্রতিবাদ করবই। তাই এই সংবাদ প্রকাশ করলাম। আমরা কোন রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে নই। আর, মা,মাটি, মানুষের সরকার এমন কাজ সমর্থনও করেনা। এই পরিবারটিকে সামাজিক বয়কট করতে হবে এমন নিদান দল দেয়নি। দলের পদ মর্যাদার অপব্যবহার করে এমন কাজ যদি কেও ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্দির জন্য করে থাকে তাহলে দল কোনদিনই তার পাশে দাঁড়াবে না এটাই আসল সত্য।

তাই, দোহাই ছোট,ছোট শিশু গুলোর মুখ চেয়ে এই বয়কট তুলে নেওয়ার অনুরোধ করছি আমরা। আর চেষ্টা করেও যেহেতু ইয়ামিন সেখের সাথে আমরা যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। তাই ওবার বক্তব্য এখানে দিতে না পারায় আমরা দুঃখিত। তবে ইয়ামিন সেখ আমাদেরকে তার বক্তব্য জানালে আমরা তাও সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করব। আমরা কারও বিপক্ষে নয়, কিন্তু সর্বদা মানবিকতার পক্ষে। তাই খবর প্রকাশ করতে বাধ্য হলাম। আশা করি সংশ্লিষ্ট দলের উচ্চ স্থানীয় নেতা,এবং বাঁকুড়ার জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story