মল্লভুম বিষ্ণুপুর

বাঁকুড়ায় নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে, এবার একশো দিনের কাজে নদীর তীরে গাছ লাগানোর কর্মসুচী হাতে নিল প্রশাসন।

বাঁকুড়ায় নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে, এবার একশো দিনের কাজে নদীর তীরে গাছ লাগানোর কর্মসুচী হাতে নিল প্রশাসন।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নদী ভাঙ্গন যেন জেলায় ভয়াবহ আকার না নিতে পারে তার জন্য এবার একশো দিনের কাজে নদীর তীরে গাছ লাগানোকেই পাখীর চোখ করেছে জেলা প্রশাসন। বর্ষার মরসুমে তাই সারা জেলা জুড়ে ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা চিহ্ণিত করে সেই এলাকার নদীর পাড় ও সংলগ্ন এলাকায় গাছ লাগানোর কর্মসুচী শুরু হল জোর কদমে।


আজ জেলার পাত্রসায়র ব্লকের বেলুট রসুলপুর পঞ্চায়েত এলাকার দামোদরের পাড়ে এই কর্মসুচীর আনুষ্ঠানিক সুচনা করেন জেলা শাসক কে,রাধিকা আয়ার।তিনি নিজে হাতে গাছ লাগিয়ে এই কর্মসুচীর সুচনা করেন।শ্রীমতী আয়ার বলেন,একদিকে কোভিড পরিস্থিতি তার ওপর ভারী বর্ষনের জেরে গ্রামের মানুষের কাজ মিলছে না।

তার ফলে রুজিরোজগারে যেন টান না পড়ে সেজন্যই জেলা প্রশাসন একশো দিনের কাজে জেলার নদী ভাঙ্গন প্রবন এলাকা গুলিতে গাছ লাগানোর কর্মসুচী নিয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে এই কর্মসুচীর মাধ্যমে যেমন বেশী,বেশী শ্রম দিবস তৈরি হবে।মানুষ কাজ পাবেন, তেমনি গাছ লাগিয়ে ভূমিক্ষয় রোধ করে নদী পাড়ের ভাঙ্গনও আটকানো যাবে।প্রসঙ্গত, জেলার বড়জোড়া, পাত্রসায়র,ইন্দাস,সোনামুখী ব্লকের দামোদর তীরবর্তী এলাকায় ফি বছর নদী ভাঙনের সমস্যায় অড়েন। চাষের জমি থেকে বাস্তু ভিটে নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। তাই নদীর তীরে গাছ লাগিয়ে আগামী দিনে জেলায় এই ভাঙ্গনের ভয়াবহতা থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষা করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই নদী ভাঙ্গন প্রবন এলাকার বাসিন্দারা জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জামিয়েছেন। এদিন,জেলা শাসক পাত্রসায়র ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে একশো দিনের কাজ খতিয়েও দেখেন। এবং ভারী বৃষ্টির ফলে ভেঙ্গেপড়া বাঁশের সাঁকোগুলির মেরামতিরও আশ্বাস দেন।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story