মল্লভুম বিষ্ণুপুর

জেলায় প্রথম করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকারের সুযোগ মিলল পরিবারের। মৃতের নিজের গ্রাম পোয়লগেরের মাটিতেই হল সৎকার।

জেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকার করার সুযোগ পেল তার পরিবার। এবং মৃতের নিজের গ্রামের বাড়ীতেই করা হল সৎকার। কোতুলপুরের পোয়লগেরে গ্রামের বাসিন্দা এই মৃত ব্যক্তির সৎকার করা নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রথমে বাধা দিলেও পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তা মেটে।

জেলায় প্রথম করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকারের সুযোগ মিলল পরিবারের। মৃতের নিজের গ্রাম পোয়লগেরের  মাটিতেই হল সৎকার।
X

বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলায় সম্প্রতি নির্দেশজারী করে যে,করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকারে তার পরিবারকে পারলৌকিক কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এবং পরিবারের হাতে মরদেহ তুলেদিতে হবে। তবে প্রতিক্ষেত্রেই করোনা সতর্কতা বিধি মেনেই এই ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

জেলার কোতুলপুরের পোয়লগেরে এলাকার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত ব্যক্তির পরিবার পোয়লগেরে গ্রামের মাটিতেই শেষকৃত্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওন্দা কোভিড হাসপাতালও সতর্কতা বিধি মেনে পরিবারের হাতে মৃত দেহ তুলে দেয়।কিন্তু গ্রামের বাসিন্দারা মরদেহ গ্রামে সৎকার করতে বাধা দেন। এর পরই সমস্যা জটিল হয়। শনিবার সন্ধ্যে থেকে রবিবার দিনভর চলে টানাপোড়েন। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাদের দাবীতে অনড় থাকেন। তারা গ্রামবাসীদের বলেন মৃতের নিজের গ্রামের লোক যদি অন্ত্যোষ্টি করতে বাধা দেন তাহলে অন্য গ্রামের লোকরাইবা তা করতে দেবেন কেন? এই অবস্থায় কোতুলপুরের বিডিও কৃষেন্দু ঘোষ,স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার শ্যামানন্দ মুখোপাধ্যায় দফায়,দফায় গ্রামবাসীদের সাথে বৈঠক করে তাদের সম্মতি আদায় করেন। এর পরই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকারের সতর্কতা বিধি মেনে এই মৃতদেহের সৎকার করার ব্যবস্থা করে ব্লক প্রশাসন।

প্রসঙ্গত,জেলার কোতুলপুর থানা এলাকার পোয়লগেরে এলাকার এক বাসিন্দা মৃদু করোনা উপসর্গ নিয়ে বাঁকুড়া মেডিকেলের ফীভার ক্লিনিকে ভর্তি হন। তারপর তার অবস্থার অবনতি হলে ওন্দা কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। এরপরই গ্রামে মৃতদেহ সৎকার নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক তৎপরতায় পোয়লগেরে গ্রামেই শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হয়।

দেখুন 🎦ভিডিও। 👇


Next Story