মল্লভুম বিষ্ণুপুর

বিষ্ণুপুরের উদ্ধার হওয়া নীল গাইয়ের ঠাঁই হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়।

বিষ্ণুপুরের উদ্ধার হওয়া নীল গাইয়ের ঠাঁই হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেত বনবিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের কুলুপুকুরে উদ্ধার হওয়া নীল গাইটিকে পাঠানো হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। মঙ্গলবার দুপুরে কুলুপুকুরের চোরকুন্দায় এই নীল গাইটিকে প্রথমে দেখেন জঙ্গলে পাতা কুড়াতে আসা কয়েকজন। তারা সিং বীহীন এই জন্তুটিকে দেখা খানিক অবাক হয়ে যান।


ভাবেন কোন ঘোড়া হতে পারে জন্তুটি। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনকর্মীরা। এরপর বন দপ্তর জন্তুটি যে নীল গাই তা নিশ্চিত হতে সেটিকে ধরে জয়পুরের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেন। কিন্তু সেখানে গ্রামের উৎসাহী মানুষের ভীড় জমতে থাকায় এবং জঙ্গলে নীল গাইটি আদৌ মানিয়ে নিতে পারবে কিনা?

এই আশঙ্কায় পাঞ্চেৎ বন বিভাগ বন দপ্তরের রাজ্যের কর্তাদের সাথে কথা বলে অবশেষে সেটিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে,বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেৎ বনবিভাগের বিভাগীয় বনধিকারিক সত্যজিত রায় জানান,এই উদ্ধার হওয়া গায়টি প্রাপ্ত বয়ষ্ক একটি স্ত্রী নীলগাই। তাই এটির রং বাদামী। পুরুষ নীলগাইয়ের গায়ের রং নীল হয়। তাই এই প্রজাতির গাই নীল গাই নামে পরিচিত। বাঁকুড়ার পাঞ্চেৎ বিভাগে এর আগে কখনও নীলগাইয়ের দেখা মেলেনি। কি করে এই গায়টি এল তাও খতিয়ে দেখছে বন দপ্তর। তবে,বিহারে প্রচুর নীল গাই আছে সেখান থেকে কেও পাচারের জন্য নিয়ে এসেছিল এমন আশঙ্কাও রয়েছে। এনে পর ধরা পড়ার ভয়ে হয়তো জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে।

তবে নীল গাইটির নিরাপত্তার কথা ভেবে সেটিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।



Next Story