মল্লভুম বিষ্ণুপুর

তৃণমূলের প্রধানের খামার বাড়ী ও তার আত্মীয় বাড়ীতেই মজুদ আগ্নেয়াস্ত্র !পুলিশি তল্লাসিতেই পর্দা ফাঁস!

খোদ রাজ্যের শাসক দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের খামার বাড়ী ও তার আত্মীয় বাড়ীতে বন্দুক, গুলি ও বোমার ভাণ্ডার! উদ্ধার তিনটি দেশী বন্ধুক,৬ রাউন্ড কার্তুজ, বোমা ও ধারালো অস্ত্রসস্ত্র। বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া অঞ্চলের ঘটনা।

তৃণমূলের প্রধানের খামার বাড়ী ও তার আত্মীয় বাড়ীতেই মজুদ আগ্নেয়াস্ত্র !পুলিশি তল্লাসিতেই পর্দা ফাঁস!
X

বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন : তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের খামার বাড়ী এবং তার লাগোয়া আত্মীয় বাড়ী থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি,বোমা! বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ হানা দিয়ে এগুলি বাজেয়াপ্ত করে। এর মধ্যে তিনটি দেশী বন্ধুক,৬ টি কার্তুজ ও বেশ কিছু বোমা রয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় উলিয়াড়া পঞ্চায়েত প্রধান এই কাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় বিরোধীরা নানা প্রশ্ন তুলছেন।প্রসঙ্গত, এই বেলিয়াড়া অঞ্চলের উলিয়াড়ার পঞ্চায়েত প্রধান তসমিনা খাতুনের স্বামী রহিম মন্ডল গত ২ রা আগস্টে ঘটা তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শেখ বাবর আলী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বোমা মেরে, কুপিয়ে বাবরকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। সেই খুনের মামলার সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্তে নেমে এই অস্ত্র মজুতের খোঁজ পায়। এবং রবিবার সকালে গ্রামে হানা দিয়ে প্রধানের খামার বাড়ীর একটি ঘর থেকে এবং পাশাপাশি আত্মীয় বাড়ীতে তল্লাসিতে এই আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়।


উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তসমিনা খাতুন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবী। ফলে এই ঘটনায় তসমিনার কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায় নি। এদিকে,এই ঘটনায় বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হরকালী প্রতিহার বলেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা ঘরে,ঘরে অস্ত্র ভান্ডার গড়ে তুলেছেন। তার প্রমাণ আজ মিলল। যদিও এই ঘটনা আইনের চলবে এবং পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।এই ঘটনায় পুলিশ তার নিজের মতো কাজ করছে। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ একটি স্বতঃ প্রণোদিত মামলা রুজু করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এই এলাকায় খুন হওয়া বাবর আলীর সাথে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রহিমের এলাকা দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। এলাকা দখলে রাখতে দুই পক্ষেরই অনুগামীরা অস্ত্র ভান্ডার গড়ে তুলেছিল। স্থানীয় সুত্রে এমনটাই খবর। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা করছেন পুলিশ গ্রামজুড়ে আরো তল্লাসি চালালে ফের অস্ত্র উদ্ধার হতে পারে। পুলিশের আজকের আস্ত্র উদ্ধারে ইতিবাচক ভুমিকাকে সমর্থন জানিয়েছেন গ্রামদাসীরাও। তারা এখন তাকিয়ে আছেন ঘটনার তদন্তের দিকেই।

দেখুন 🎦 ভিডিও 👇




Next Story