বাজার-বানিজ্য

রাজ্যে আরও মহার্ঘ আলু! সরকারী নির্ধারিত দামে আলু দিতে অপারগ আলু ব্যবসায়ীরা, রাজ্য স্তরের বৈঠকের পর ঘোষণা সংগঠনের।

রাজ্যে আরও মহার্ঘ হতে চলেছে আলু! সরকারী নির্ধারিত দামে আলু দিতে অপারগ আলু ব্যবসায়ীরা, রাজ্য স্তরের বৈঠকের পর তা সাফ জানিয়ে দিল আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির। তাদের বক্তব্য সরকারি নির্দেশ মতো ২৫ টাকা কেজি দরে খুচরো বাজারে এবং ২২ টাকা কেজি দরে হিমঘরের গেটে পাইকারি দরে আলু সরবরাহ করতে আপারগ তারা। এখন দেখার এই ঘোষণার পর খুচরো বাজারে আলুর দামে রাশ টানতে রাজ্য সরকার কি ভুমিকা নেয় সেদিকেই নজর রইল সবার।

রাজ্যে আরও মহার্ঘ আলু! সরকারী নির্ধারিত দামে আলু দিতে অপারগ আলু ব্যবসায়ীরা, রাজ্য স্তরের বৈঠকের পর ঘোষণা সংগঠনের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের নির্ধারিত দামে বাজারে আলু সরবরাহ করতে অপারগ রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা। বুধবার জেলার জয়পুরের একটি বেসরকারি রিসর্টে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠকে রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার আলুর উর্দ্ধমুখী দামে রাশ টানতে গত শুক্রবার ব্যবসায়ী সমিতি ও হিমঘর মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে নবান্নে বৈঠকে আলুর দাম নির্ধারিত করে দেওয়া হয়। বলা হয় খুচরো বাজারে ২৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করতে হবে। এবং হিমঘরের গেটে পাইকারি দাম বেঁধে দেওয়া হয় ২২ টাকা প্রতি কেজি। পাশাপাশি একসপ্তাহের মধ্যে দাম না কমলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন নবান্নের কর্তারা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই টনক নড়ে রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির বুধবার জয়পুরে বাঁকুড়া,দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান,হুগলী ও হাওড়ার প্রায় শতাধিক রাজ্য কমিটির সদস্য বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।

সেখানেই তারা জানান, সরকারি নির্ধারিত দামে বরাবর আলু সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সরকারি নির্দেশও স্পষ্ট নয় কতদিন ধরে এই নির্ধারিত দামে আলু সরবরাহ করতে হবে। তাই পাইকারি ২২ টাকা ও খুচরো ২৫ টাকা দরে রাজ্যে আলু বিক্রি কার্যত আষাঢ়ে গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক বিভাস দে বলেন,২২ টাকা কেজিতে পাইকারি আলু হিমঘর গেটে বিক্র করতে তারা অপারগ। তাছাড়া এই নির্দেশিকায় সুস্পষ্ট গাইড লাইন না থাকায় আলু ব্যবসায়ীরাও ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন। আর আলুর দাম বাজারে নিয়মিত হারে ওঠা নামা করে। ফলে আলুর দাম এভাবে বেঁধে দিলে সমস্যা হবে। আলুর বাজারে যেমন দাম চলবে সেই হারেই সুফল বাংলার মতো সরকারি বিপণিতে আলু তারা সরবরাহ করবেন। কিন্তু বর্তমান নির্ধরিত দামে তা বেচা সম্ভব নয়। তাতে যদি সরকার কোন কড়া ব্যবস্থা নেয়, তার মোকাবিলা করতেও তারা সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুত বলেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এদিন।


এদিকে,খুচরো বাজারে আলুর গুণমান ভেদে ২৮ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও ২৫ টাকা দরে আলু মিলছেনা বলেই আম জনতার দাবী।

অন্যদিকে, রাজ্যের আলুর মজুত গ্রাফে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের চার শতাধিক হিমঘরে এবছর আলু মজুত হয়েছিল ১১ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ প্যাকেট আলু। এর মধ্যে বাজারজাত হয়েছে ৫ কোটি ৬৮ লাখ প্যাকেট। অর্থাৎ এখনও রাজ্যের হিমঘর গুলিতে ৫০% আলু মজুত রয়েছে। তবুও আলুর দাম লাগাম ছাড়া।আর যার জেরে আম বাঙ্গালীর রসুইখানায় আলুর টান!

এই পরিস্থিতিতে সরকার আর আলু ব্যবসায়ীদের দড়ি টানাটানির জেরে লাগাম ছাড়া আলুর দামের থেকে নিস্তার পাওয়া অধরাই থেকে যাবে আলু প্রিয় বাঙ্গালীর কাছে! তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।

Next Story