বাজার-বানিজ্য

রুগ্ন ছাগল ভোর রাতে কেটে বিক্রি,ক্রেতারা টের পেতেই শোরগোল সানবাঁধায়।

শহর এলাকায় মাংসের দোকানে পুরসভার পক্ষ থেকে মাঝে,মধ্যে নজরদারি চালানো হলেও গ্রামে তার চল নেই।ফলে, নিম্নমানের বাসি,পচা মাংস বিক্রির কারবার চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।পাশাপাশি, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও এবার কাঁচা মাংসের দোকানে নজরদারির দাবি তুলছেন এলাকার মানুষ।

রুগ্ন ছাগল ভোর রাতে কেটে বিক্রি,ক্রেতারা টের পেতেই শোরগোল সানবাঁধায়।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : খাদ্য বিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, রুগ্ন ছাগল ভোর রাতে কেটে, তার মাংস বিক্রি হচ্ছিল জেলার দুই নাম্বার ব্লকের সানবাঁধা অঞ্চলের তমাল তলা মোড়ে।ভোর তিনটের সময় কাটা সেই মাংসে বেলা হতেই পচন শুরু হয়। এবং মাছি বসতে থাকে। তাতেই সন্দেহ হয় ক্রেতাদের। মুহুর্তে সারা গ্রামে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই মাংসের দোকানে চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবং চেপে ধরতেই আসল সত্য ফাঁস করে দেন যিনি এই ছাগল বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছিলেন।পুনিশোল গ্রামের বাসিন্দা বাকিভুল্লা মন্ডল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার স্বীকার করে নেন, যে তিনি, তার গ্রাম থেকে একটি অসুস্থ,রুগ্ন ছাগল নিয়ে আসেন।

এবং সানবাঁধার মাংস বিক্রেতা জনৈক খোকার সাথে আঁতাত করে এই ছাগল বিক্রির টাকা আর্ধেক ভাগাভাগির শর্তে বিক্রি করতে থাকেন।এবং এই রুগ্ন ছাগল কাটার ঘটনা যাতে ক্রেতারা টের না পান,তার জন্য ভোর তিনটের সময় ছাগলটি কাটা হয়। আর এর ফলেই বেলার দিকে মাংসে পচন ধরায় এবং মাছি বসতে থাকায় ক্রেতারা জালিয়াতি ধরে ফেলেন সহজে। এরপর বাকিভুল্লা কে আটকে তারা ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি, পুলিশে খবর দেন।পুলিশ এসে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যায় বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, শহর এলাকায় মাংসের দোকানে পুরসভার পক্ষ থেকে মাঝে,মধ্যে নজরদারি চালানো হলেও গ্রামে তার চল নেই।ফলে, নিম্নমানের বাসি,পচা মাংস বিক্রির কারবার চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।পাশাপাশি, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও এবার কাঁচা মাংসের দোকানে নজরদারির দাবি তুলছেন এলাকার মানুষ।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇


Next Story