মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

বারোমাস ঠাকুর ঘরেই পুজিত হয় কাঠের চেয়ার,আর ২৩ জানুয়ারী উঠোনে এনে চলে শ্রদ্ধা নিবেদন। জেনে এই নিন চেয়ারের মাহাত্ম্য।

বারোমাস ঠাকুর ঘরেই পুজিত হয় কাঠের চেয়ার,আর ২৩ জানুয়ারী উঠোনে এনে চলে শ্রদ্ধা নিবেদন। জেনে এই নিন চেয়ারের মাহাত্ম্য।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন ( দিব্যেন্দু গোস্বামী,দেশুড়িয়া): সালটা তখন ১৯৪০, তারিখ ২৮ শে এপ্রিল,রবিবার।প্রচন্ড দাবদাহকে উপেক্ষা করে কাতারে,কাতারে মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন জঙ্গাজলঘাটিতে। কারণ, এখানেই বক্তব্য রাখবেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁর ভাষণ দেওয়ার জন্য তৈরী করা হয় মঞ্চও। আর নেতাজীর বসার জন্য মঞ্চে রাখা হয় নুতন সোফা সেট। পাশাপাশি, অন্যান্য বিশিষ্ট জনদের বসার জন্য আশপাশের দোকান ও বাড়ী থেকে জোগাড় করা কাঠের চেয়ার রাখা হয়েছিল। নেতাজী নুতন সোফা সেটে না বসে, কাঠের চেয়ারে বসেন।

আর সোফাসেট সরিয়ে নিতে বলেন। যে চেয়ারটিতে তিনি বসেছিলেন সেই চেয়ারটি আনা হয়েছিল দেশুড়িয়া গ্রামের ডাক্তার বাবু রামরূপ কর্মকারের ডিসপেনসারি থেকে।সেদিন নেতাজী সভা সেরে রামহরিপুর হয়ে বেলিয়াতোড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপরই এই চেয়ার মাথায় করে দেশুড়িয়ায় নিজের বাড়ীতে নিয়ে আসেন রামরূপ কর্মকার। এবং সেই থেকেই এই নেতাজীর স্মৃতি বিজড়িত চেয়ারটির স্থান হয় কর্মকার পরিবারের ঠাকুর ঘরে।বারোমাস পুজিত হয়ে আসছে এই চেয়ারটি।


আর ফি বছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজী জয়ন্তীতে এই চেয়ার বাড়ীর উঠোনে এনে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এই রিতী চলে আসছে টানা ৮০ বছর ধরে। ১৯৪০ সালের ২৮ শে এপ্রিল ৯ বছরের বালক ছিলেন রামরূপ বাবুর ছেলে নিরঞ্জন বাবু।তিনিও সেদিন নেতাজী কে দেখার জন্য হাজির ছিলেন। এক ঝলকে নেতাজীকে দেখার স্মৃতি এখনও মনে আছে। তার। পরে বাড়ীর বড়োদের কাছে শুনেছিলেন হুড খোলা ফোর্ড গাড়ী চড়ে এসেছিলেন নেতাজী। সেদিন বাড়ীতে চেয়ার আনার ঘটনাও মনে পড়ে নিরঞ্জন বাবুর।


নেতাজীর জন্মের ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তীতেও একই প্রথা মেনে এই কাঠের চেয়ারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন কর্মকার বাড়ীর লোকজনের পাশাপাশি দেশুড়িয়া গ্রামের মানুষও।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇



Next Story