মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

কাক ভোরে গঙ্গাজলঘাটি বাজারে দাঁতালের দাপাদাপি,গোলদারি দোকানে হানা,এলাকা জুড়ে হাতি আতঙ্ক!

কাক ভোরে গঙ্গাজলঘাটি বাজারে দাঁতালের দাপাদাপি,গোলদারি দোকানে হানা,এলাকা জুড়ে হাতি আতঙ্ক!
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (দিব্যেন্দু গোস্বামী,গঙ্গাজলঘাটি) :

কাক ভোরেই গজরাজের দাপাদাপির জেরে আতঙ্ক ছড়াল জেলার গঙ্গাজলঘাটি এলাকায়। এক অতিকায় দাঁতাল হাতিটি এদিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ গঙ্গাজলঘাটি বাজারে ঢুকে পড়ে। এবং একটি গোলদারি দোকানে হামলা চালায়। ভোরেই লোকালয়ে আচমকা এই হাতির দাপাদাপি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা হৈ,হুল্লোড় জুড়ে দিয়ে কোনক্রমে হাতিটিকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।


এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বন দপ্তর হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে উদাসীন তাই এভাবে লোকালয়ে হাতি ঢুকে পড়ছে। যার ফলে যে কোন সময় বিপদ ঘটতে পারে এই আশঙ্কাও করছেন তারা।এই এলাকায় কদিন ধরেই হাতির হানার ঘটনা ঘটছে।

জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার না মেলায় লোকালয়ে ঢুকে গোলার বা খামারের ধান এবং মাঠে লাগানো মরসুমী সবজির লোভে হাতি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বলেই মনে করছেন এলাকার মানুষ। তাদের ক্ষোভ এই হাতির লোকালয়ে হানা ঠেকাতে ব্যর্থ বন দপ্তর। হাতির লোকালয়ে ঢুকে পড়া আটকাতে এবং হাতিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে হুলা পার্টি দিয়ে বন দপ্তরের ড্রাইভে নামারও দাবী তুলেছেন তারা।এখন দেখার বন দপ্তর কি ভুমিকা নেয়। যেদিকেই নজর রইল সবার।


তবে শস্য হানি বা ঘর,বাড়ী,দোকানে হানা এলাকার বাদিন্দারা মেনে নিলেও জীবন হানির ঘটনা ঘটলে তারা মেনে নেবেন না সেক্ষেত্রে, জনরোষের মধ্যে পড়তে হবে বন দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের তা বলাই বাহুল্য। তাই হাতির লোকালয়ে হানা ঠেকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে বন দপ্তর কে। নইলে পরিস্থিতি জটিল আকার নেবে।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇



Next Story