মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

জেলার তিন শতায়ু পার করা ভোটাররা কেমন আছেন? খোঁজ নিল প্রশাসন। আসুন এনাদের সাথে পরিচয় করুন আপনিও।

ভোটার তালিকার সংক্ষিপ্ত সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৮ নভেম্বর থেকে।ওই প্রক্রিয়ায় নতুনদের নাম তোলার পাশাপাশি মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।একইসঙ্গে সরেজমিন খোঁজ নেওয়া হয় এলাকার বয়ষ্ক ভোটারদের সম্পর্কে। ৮০ বছরের উর্ধ্বে হলে খোঁজ খবর নেন নির্বাচন কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্লকের বিভিন্ন আধিকারিকরা।আর যদি একশো পার হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সরেজমিনে খোঁজ নেন খোদ নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক। বড়জোড়ায় এমন তিন শতায়ু ভোটারের সাথে পরিচিত হন আপনিও।

জেলার তিন শতায়ু পার করা ভোটাররা কেমন আছেন? খোঁজ নিল প্রশাসন। আসুন এনাদের সাথে পরিচয় করুন আপনিও।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ১০০ কবেই পেরিয়ে এসেছেন,এখন বয়স ১১১ বছর। বড়জোড়া ব্লকের সবচেয়ে বয়ষ্ক ভোটার সাহারজোড়া গ্রামের বাসিন্দা গ্রামের জ্ঞানদা পাল। আর একজন বড়জোড়ার পল্লিশ্রী কলোনীর বাসিন্দা দুলুবালা মন্ডল। তিনি এবছর পা দিয়েছেন ১০১ বছরে। আর একজন হলেন নিত্যানন্দপুর গ্রামের প্রমীলা ঘোষ, যার বয়স ১০০ বছর। আজ এই তিন শতায়ু ভোটারের দুয়ারে সরজমিনে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন বড়জোড়া বিধনসভার নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক বিমলেন্দু দাস এবং বড়জোড়ার বিডিও তথা সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক ভাস্কর রায়।


তবে, প্রমীলা দেবী বিষ্ণুপুরে মেয়ের বাড়ীতে গিয়েছেন দিন কয়েক আগে। তাই তার সাথে সাক্ষাৎ হয়নি। বাকী দুজনের সাথে কথা বলে তাদের যাবতীয় তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সুবিধা,অসুবিধারও খোঁজ নেন। এনাদের খাদ্য সাথীর কার্ড আছে। তবে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড বানিয়ে দেবে প্রশাসন। আর একজনের বার্ধক্য ভাতা মিললেও বাকি দুজন পাননা। তাদের এই ভাতার আওতায় এনে দেওয়ার ব্যবস্থাও করবে ব্লক প্রশাসন।

এই বিধানসভা ক্ষেত্রের নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক বিমলেন্দু দাস বলেন এনারা বেশ চনমনেই আছেন। হাসি,ফূর্তি করে বৌমা ও নাতি,পুতিদের সাথে দিনকাটাচ্ছেন। কোন আসুবিধে নেই এনাদের। আর বিডিও ভাস্কর রায় জানান এই বৃদ্ধাদের কাছে তাদের কিছু চাওয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে,খানিক আবদার করে কম্বল আর পরণের ধুতি চান। বিকেলেই তাদের এই আবদার পুরণ করতে পেরে খুশী বিডিও ভাস্কর বাবুও। বরজোড়া ব্লকে এই ত্রয়ী শতায়ু ভোটার পেয়ে আধিকারিকরা নিজেদের সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন।


প্রসঙ্গত,ভোটার তালিকার সংক্ষিপ্ত সংশোধন প্রক্রিয়া রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ১৮ নভেম্বর থেকে।এই প্রক্রিয়ায় নতুনদের নাম তোলার পাশাপাশি মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজও চলছে। এবং এই কর্মসুচীর নিয়ম অনুযায়ী এলাকার অধিক বয়সী ভোটারদের সরেজমিনে খোঁজ নিতে হয়।এবং ৮০ বছরের উর্ধ্বে হলে খোঁজ খবর নেন নির্বাচন কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্লকের বিভিন্ন আধিকারিকরা।আর বয়স যদি একশো পার হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সরেজমিনে খোঁজ নেন খোদ নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক। এমন নিয়ম রয়েছে নির্বাচন দপ্তরে।সেই মতো এই বড়জোড়া ব্লকের তিন শতায়ু ভোটারের দুয়ারে হাজির হয়েছিলেন আধিকারিকরা।


এদিন, কম্বল, ধুতি ও কিছু আর্থিক সাহায্যও তুলেদেন এই বয়ষ্ক তিন ভোটারের হাতে। এই সহযোগিতা পেয়ে আপ্লুত তারাও।

আমরা জেলার এই তিন শতায়ু পার করা ভোটারকে শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানাই। আমাদের দেশের গণতন্ত্রে ভোটই হল প্রধান স্তম্ভ আর এই ভোটাররাই হলেন স্তম্ভের ভীত। সেই ভিত্তির তিন প্রবীনা ভোটার আমাদের গণতন্ত্রের গর্ভ। কুর্নিশ রইল এই ত্রয়ীকে।



Next Story