মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে এক গৃহবধূকে দুবার কোভিড ভ্যাকসিন পখন্না স্বাস্থ্য কেন্দ্রে! আতঙ্কে মহিলা,মুখে কুলুপ জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের।

মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে এক গৃহবধূকে দুবার কোভিড ভ্যাকসিন পখন্না স্বাস্থ্য কেন্দ্রে! আতঙ্কে মহিলা,মুখে কুলুপ জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উলট পুরাণ! মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দু- দুবার কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হল এক গৃহবধুকে। আর এই চরম গাফিলতি ধামা-চাপা দিতে জোর তৎপরতা দেখে অবাক ওই গৃহবধুও। আজ এমন ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় বড়জোড়া,ব্লকের পখন্না স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বড়জোড়ার রাজমাধবপুর গ্রামের বছর ২৮ এর গৃহবধূ মন্দিরা পালের অভিযোগ,এদিন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে গেলে তাকে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুবার কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এর পর থেকেই তিনি ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। যদিও বড় কোন অসুস্থতার উপসর্গ এখনও পর্যন্ত নেই বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, জানা গেছে এই ঘটনার পর প্রশাসনিক স্তরে কোন অভিযোগও জানানো হয়নি ওই মহিলা বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে।

তবে ওই মহিলার স্বামী গুণময় পাল বলেন এটা স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতির জন্যই ঘটেছে। এই মুহুর্তে যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন তিনিও তাই সাথে,সাথে অভিযোগ জানানো হয়ে ওঠেনি। তবে তিনি অভিযোগ করবেন এবং এমন যেন আর না ঘটে তার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে আরও সক্রিয় হওয়ারও দাবী তুলেছেন।


কি করে ঘটল এমন ঘটনা? মন্দিরা দেবী জানান,এক প্রতিবেশীর সাথে তিনিও পখন্না স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিডের টিকা নিতে যান। শুক্রবার ছিল তার প্রথম ডোজ। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর তিনি ওষুধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মিনিট দশের কাটতে না কাটতেই এক নার্স ওই একই হাতে আরও একবার ইনজেকশন ফুঁড়ে দেন। তিনি চেঁচিয়ে যখন বলেন সবাইকে একবার করে ফোঁড়া হচ্ছে তাহলে তার বেলায় দুবার কেন?

এই কথা বলার সাথে,সাথে ওই নার্স তাকে পাশের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বসান। এবং সেখানে ডাক্তার বাবু ব্লাড প্রেসার মেপে বলেন, ভয়ের কিছু নেই। কিছু হবে না। এই বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে সরকারী নির্দেশ রয়েছে দ্বিতীয় ডোজ দিতে অন্তত ৮৪ দিনের ব্যবধান থাকার, তখন ১০ মিনিটের মধ্যেই দুটো ডোজ দিয়ে দেওয়া হল। এতে একজনের শারিরীক ঝুঁকি যেমন বেড়ে গেল, তেমনি আর একজন টিকা থেকে বঞ্চিত হলেন। একজনকে দুবার টিকা দেওয়ায়। তাই এই চরম গফিলতির দায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এড়াতে পারেনা। তবে এই ঘটনার পর কার্যত মুখে কুলপ এঁটেছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। বাঁকুড়ার সিএমওএইচ শ্যামল সরেনের সাথে বার,বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এখন দেখার এত বড়ো গাফিলতির ঘটনা ঘটার পর স্বাস্থ্য দপ্তর কি ভুমিকা নেয়?

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇


Next Story