মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুত মাত্র দুদিনের জল,দূর্গাপুর ব্যারেজ এর মধ্যে সারাই না হলে বন্ধ হবে উৎপাদন।

শনিবার বিকেল পর্যন্ত পাম্প হাউসের মাধ্যমে জল সরবরাহ হলেও, এর পর থেকে জলের জোগান নেই। তবে এপর্যন্ত যে পরিমান জল রিজার্ভারে আছে তাতে করে বড়ো জোর আর দু দিন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যাবে। আর এই দুদিনের মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারেজ সারাই হয়ে জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, সেক্ষেত্রে পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুত মাত্র দুদিনের জল,দূর্গাপুর ব্যারেজ এর মধ্যে সারাই না হলে বন্ধ হবে উৎপাদন।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নাম্বার লক গেট ভাঙ্গার ফলে এবার উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা করছেন মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কতৃপক্ষ। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দামোদর থেকে জল পাম্প হাউসের মাধ্যমে এসে পৌঁছায়। তার পর এই জল দুটি বিশাল রিজার্ভারে ভরে রাখা হয়। শনিবার বিকেল পর্যন্ত পাম্প হাউসের মাধ্যমে জল সরবরাহ হলেও, এর পর থেকে জলের জোগান নেই। তবে এপর্যন্ত যে পরিমান জল রিজার্ভারে আছে তাতে করে বড়ো জোর আর দু দিন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যাবে। আর এই দুদিনের মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারেজ সারাই হয়ে জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, সেক্ষেত্রে পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবী করছে ডিভিসি কতৃপক্ষ।

বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হল ডিভিসির যত গুলি প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে সর্ব বৃহৎ। এখানে ৮ টি ইউনিট রয়েছে। এই ইউনিট গুলির মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতস ২৩৪০ মেগাওয়াট। আর এই কেন্দ্রে দৈনিক গড় বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার ১৮০০ থেকে ২০০০ মেগাওয়াট। এই ইউনিট গুলি চালাতে লাগে প্রচুর পরিমান জল। যার উৎস হল দুর্গাপুর ব্যারেজ। ফলে ব্যারেজ জল শূণ্য হলে ডিভিসির এই কেন্দ্রেও উৎপাদন শূণ্যে ঠেকবে।


মেজিয়া তাও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিজিএম(প্রশাসন) প্রবীর কুমার চাঁদের বক্তব্য, শণিবার বিকেল পর্যন্ত জল মিলেছে। যা জল মজুত আছে তাতে দিন দুয়েক প্ল্যাণ্ট চালানো সম্ভব। তার পর জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহেও ঘাটতি হবে বড়ো মাত্রায়।

এদিকে,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেচ দপ্তর দ্রুততার সাথে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজে নেমে পড়েছে। এখন দেখার তার জন্য কত সময় লাগে। তার ওপরই নির্ভর করছে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনের ভবিষ্যৎ।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story