পড়াশোনা ২৪X৭

ফের সাফল্য বাঁকুড়ার,আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম সাগ্নিক নন্দী।

ফের সাফল্য বাঁকুড়ার,আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম সাগ্নিক নন্দী।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ফের বাঁকুড়ার বড়ো সাফল্য! এবার আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক নন্দী। এই সাগ্নিক রাজ্য জয়েন্টে অষ্টম স্থান অর্জন করেছিল। সেই সময় খানিকটা মুষড়ে পড়েছিল এই মেধাবী পড়ুয়া।তবে এবার জেইই অ্যাডভান্স পরীক্ষায় অর্থাৎ আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম হওয়ায় তার মন ভরে গেছে। সর্বভারতীয় স্তরে ৩৯ এবং রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়ায় আর কোন আক্ষেপ নেই সাগ্নিকের।তার এই সাফল্যে সে মা,বাবার প্রতি উৎসর্গ করেছে। আর সাগ্নিকের এই সাফল্যে খুশী তার পরিবার থেকে বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া এলাকার পড়শীরাও।

পাড়ার ছেলের এই নজর কাড়া সাফল্যের কথা এখন সবার মুখে,মুখে ঘুরছে জুনবেদিয়া জুড়ে।বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক নন্দী। এই স্কুলেই সে প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোন করেছে। ।মাধ্যমিকে সাগ্নিক পেয়েছি ৯৪.৫৭% নাম্বার এবং উচ্চ মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নাম্বারের হার ৯৬.৬০%। পাশাপাশি,জেইই মেইন পরীক্ষায় তার র‍্যাঙ্ক ছিল ২৮৯। আর জেইই এডভান্স পরীক্ষায় তার সর্বভারতীয় র‍্যাঙ্ক ৩৯। যার নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সাগ্নিক নন্দী।পড়াশোনার জন্য বাঁকুড়ার বাইরে,রাজস্থানের কোটায় রয়েছে সাগ্নিক। সেখান থেকে সে তার প্রতিক্রিয়া জানায় আমাদের।

বাঁকুড়া২৪X৭ কে সাগ্নিক ফোনে জানায় যে, সে "আশা করেছিলাম প্রথম ১০০ এর মধ্যে র‍্যাঙ্ক থাকবে,তবে তা যে ৩৯ তে উঠে আসবে এতটা ভাবিনি"। স্বভাবতই এই সাফল্যে সে বেজায় খুশী।সাগ্নিক এরপর মুম্বাইয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়বে বলে ঠিক করেছে। তার ইচ্ছে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।তার এই সাফল্যে খুশীর মহল তার স্কুল বাঁকুড়া জিলা স্কুলেও। এই স্কুলের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সবাই গর্বিত সাগ্নিক কে নিয়ে।বাঁকুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণধন ঘোষ জানান, সাগ্নিকখুবই মেধাবী এবং শান্ত প্রকৃতির ছাত্র। ঠান্ডা মাথার ছেলে বলতে যা বোঝায়। বরাবর পড়াশোনায় ভালো সে।

ছোটো থেকেই এই স্কুলে পড়েছে। তার এই সাফল্যে আমরা সবাই গর্বিত। আগামীতে সাগ্নিকের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা রইল।এদিকে, ছেলের এই সাফল্যে খুশীর আবহ নন্দী পরিবার জুড়েও।সাগ্নিকের বাবা আনন্দ রঞ্জন নন্দী বলেন, আমরা দারুণ খুশী। ছেলের ইচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার।আমরা চাইছি সে তার নিজের ইচ্ছে মতো পড়ুক। ছেলে ভালো ফল করবে বলে আগেই জানতাম।তবে,প্রথম ৫০ এর মধ্যে থাকবে এতটা আশা করিনি। ছেলে ৩৯ র‍্যাঙ্ক করে রাজ্যে প্রথম হওয়ায় আমি খুশী।সাগ্নিকের সফলতায় আনন্দে চোখের জল চেপে রাখতে পারেনি তাঁর মা মন্দিরা দেবী।

তিনি জানান,রাজ্যে ছেলে সেরা হয়েছে। এতে খুবই ভালো লাগছে।তবে ও পরিশ্রমও কম করেনি। রোজ ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়েছে সে। তার ফলও পেয়েছে সে।আর অবসর সময় পেলে একটু আধটু গল্পের বই পড়েছে।ছোট থেকেই গল্পের বই পড়ার নেশা আছে সাগ্নিকের। ছেলের ইচ্ছে মুম্বাইয়ে পড়াশোনা করার। এবার সাগ্নিকের মুম্বাইয়ে পড়াশোনার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পালা শুরু।

বাঁকুড়া২৪X৭ পরিবারের পক্ষ থেকে সাগ্নিকের জন্য রইল অনেক,অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।



Next Story