পড়াশোনা ২৪X৭

নিটে সর্বভারতীয় স্তরে মেধা তালিকায় ১৯ তম স্থান অর্জন সোনামুখীর সৌম্যদীপের।

মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-এর মেধা তালিকায় ১৯ তম স্থান অর্জন করল বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা এবং বাঁকুড়া ডিএভি স্কুলের ছাত্র সৌম্যদীপ হালদার। এবার সর্বভারতীয় মেধা তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের কেবল মাত্র সৌম্যদীপই স্থান পেয়েছে।

নিটে সর্বভারতীয় স্তরে মেধা তালিকায় ১৯ তম স্থান অর্জন সোনামুখীর সৌম্যদীপের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সর্বভারতীয় স্তরে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-এর মেধা তালিকায় ১৯ তম স্থান অর্জন করল বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা এবং বাঁকুড়া ডিএভি স্কুলের ছাত্র সৌম্যদীপ হালদার। এবার সর্বভারতীয় মেধা তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের কেবল মাত্র সৌম্যদীপই স্থান পেয়েছে। বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাসিন্দা সৌম্যদীপ হালদারের প্রাপ্ত নম্বর ৭১৫। তার এই সাফল্যে খুশির আবর্ত জেলার সোনামুখীর পুর শহরের শ্যামবাজার জুড়ে। সৌম্যদীপের বাবা চন্দ্রভানু হালদার একজন ফার্মাসিস্ট। তার নিজস্ব ওষুধের ব্যবসাও রয়েছে। মা সমাপ্তি হালদার গৃহবধূ।এবং সৌম্যদীপের দিদি ইন্দুজা হালদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি নিয়ে পড়ছেন। ছোটো বেলা থেকেই সৌম্যদীপের ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল।

মেধাবী পড়ুয়া সৌম্যদীপ বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ২০১৯ সালে পুয়াবাগান সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে ৯৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। এবং চলতি বছর ৯৫.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে বাঁকুড়ার ডিএভি স্কুল থেকে। তার ইচ্ছে দিল্লীর এইমস থেকে ডাক্তারি পড়ার।


সৌম্যদীপ নিটের জন্য প্রস্তুতির পাঠ নিয়েছিল দুর্গাপুরের একটি প্রথম শ্রেণীর বেসরকারি কোচিং সেন্টার থেকে। পাশাপাশি বাড়িতেও বিস্তর পড়াশোনা চালিয়েছিল সে। তার এই সাফল্যের জন্য সে মা,বাবা ও দিদির যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছে এই কৃতি পড়ুয়া। এছাড়া বাঁকুড়া শহরের আর এক পড়ুয়াও সাফল্য পেয়েছে এই প্রবেশিকা পরীক্ষায়। তার নাম শুভদীপ সাহানা। সে বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহির বাসিন্দা। শুভদীপের র‍্যাঙ্ক ৪৭০। এবং প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। দিল্লির এইমসে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। শুভদীপের।

পাশাপাশি,এই ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে বাঁকুড়ার আরও এক পড়ুয়া। জেলার জয়পুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম দৌলতচক শেখ আসাদুল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৫ এবং র‍্যাঙ্ক ২১১৫। অতি সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠা আসাদুলের সাফল্য গ্রামে নজির গড়ায় খুশী গ্রামের বাদিন্দারা। তার বাবা শেখ আবদুর রাজ্জাকের পেশা চাষআবাদ।২০১৭ সালে কোতুলপুরের পানুয়া কবিচন্দ্র হাইস্কুল থেকে ৬০৩ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করে আসাদুল। এবং ২০১৯ সালে ৪৪৮ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন হুগলির খানাকুলের নাবাবীয়া মিশন থেকে। নিট-এ বসার জন্য হাওড়ার উলুবেড়িয়ার আলামিন মিশন থেকে প্রস্তুতি র কোচিং নিয়েছিল সে। আসাদুল জানায় তার 'বাবা-মা যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছেন, আভাবের সংসারে অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে লড়াই করে এই সাফল্য মিলেছে। তার ইচ্ছে 'কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে থেকে মেডিকেল পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

প্রসঙ্গত, এবার নিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবছরের ১২ সেপ্টেম্বর। সোমবার এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। এবং রাজ্য থেকে মেধাতালিকায় একমাত্র সৌম্যদীপ সরকার স্থান পেয়ে জেলার মুখ উজ্জ্বল করল। সৌম্যদীপ সহ জেলার অন্যন্য কৃতি পড়ুয়াদের বাঁকুড়া ২৪X৭এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা রইল।



Next Story