জঙ্গলমহল খাতড়া

ভোটে ভরাডুবি,নেত্রীর কোপে অরুপ খাঁ,বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার জন্য দায়িত্বে শুভাশিস বটব্যাল ও শ্যামল সাঁতরা।

ভোটে ভরাডুবি,নেত্রীর কোপে অরুপ খাঁ,বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার জন্য দায়িত্বে শুভাশিস বটব্যাল ও শ্যামল সাঁতরা।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার দুই লোকসভা আসনে ভরাডুবির পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষে পড়ে জেলা সভাপতির পদ খোয়ালেন আরুপ খাঁ। পাশাপাশি জেলার সাংগঠনিক পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে দুই লোকসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা হিসেবে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের জন্য দুই জন কে সভাপতির দায়িত্ব দিলেন নেত্রী। আজ কালীঘাটে তা ঘোষণা করেন তৃনমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বাঁকুড়ার দায়িত্ব ভার পেলেন বাঁকুড়া জিলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল এবং বিষ্ণুপুরের দায়িত্ব ভার নিচ্ছেন রাজ্যের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। তিনি বাঁকুড়া২৪X৭ কে জানান, এবার একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে দলের ভিত গড়ার কাজ শুরু করে দেবেন।বুথ ভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামো নুতন করে গড়ে তুলতে শীঘ্রই নেমে পড়বেন তিনি।অন্যদিকে,বাঁকুড়ার সবে দায়িত্ব পাওয়া শুভাশিস বটব্যাল কে বারে, বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া না যাওয়ায় তার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

প্রসঙ্গত,বিজেপি এই জেলাকে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে তাদের সাংগঠনিক ভিত গড়ে তোলে এবং তার ফল মেলে হাতে, নাতে। জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই লোকসভা আসন দুটি তৃণমূলের হাত থাকে ছিনিয়ে নেয়।এবার বিধান সভার আগে বিজেপির কায়দায় জেলাকে দুই ভাগ করে, দলের ভিত মজবুত করার কাজে নেমে পড়ল তৃণমূলও। তবে,২০২১ এর আগে ২০ তে রয়েছে জেলার বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী এই তিন পুরসভার নির্বাচন। তার আগে নুতন দায়িত্ব পাওয়া দুই সভাপতির কাছেই শহরাঞ্চলে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোই বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে তা বলাই বাহুল্য। পুর ভোটে ফল আশাতীত না হলে বিধান সভার আগে ফের তাদের ওপরো কোপ পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না জেলার রাজনৈতিক মহল।

Next Story