জঙ্গলমহল খাতড়া

ক্ষুদিরামের আত্ম বলিদান দিবসে ফের ছেঁদা পাথরের বিপ্লবী গুহা উন্মুক্ত করার দাবী উঠল।

ক্ষুদিরামের আত্ম বলিদান দিবসে ফের ছেঁদা পাথরের বিপ্লবী গুহা উন্মুক্ত করার দাবী উঠল।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : প্রতি বছর ঘটা করে শহীদ ক্ষুদিরামের আত্ম বলিদান দিবস পালিত হয় জেলার বারিকুলের ছেঁদাপাথরে। কিন্তু নুতন প্রজন্মের কাছে এই জায়গার ইতিহাস অধরাই থেকে যায়। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এখানেই ছিল বিপ্লবীদের গোপন আস্তানা। আজ থেকে প্রায় ১১৬ বছর আগে আম্বিকানগরের জমিদার রাইচরণ ধবলদেবের পৃষ্ঠপোষকতায় ছেঁন্দাপাথরের গোপন গুহায় ক্ষুদিরামদের বোমা বাঁধার কাজ চলত।আর এখান থেকেই বিপ্লবীদের গোপনে স্বদেশী আন্দোলনের কাজ চলত। দীর্ঘ দিন ধরে এই স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত গুহাটিকে উন্মুক্ত করার দাবী উঠলেও তা আজও পাথর দিয়ে বন্ধ করেই রাখা হয়েছে।আথচ এই গুহা উন্মুক্ত করে দিলে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের টানে এখানে ভীড় জমাবেন পর্যটকরা। জঙ্গলমহলের পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষ জন তাতে দু পয়সা রোজগারের সুযোগ যেমন পাবেন,তেমনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে ছেঁন্দাপাথরের যুক্ত থাকা ইতিহাসের সাথে আম জনতার পরিচয় ঘটবে। বিপ্লবীদের এই আস্তানায় এক সময় মাওবাদী দের সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই সময় মাওদের ভয়েই গুহা খুলে দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি প্রশাসন! কারণ তখন গুহা খুলে দিলে মাও গেরিলারা গুহায় ঘাটি গেড়ে ফেলার আশঙ্কা ছিল? কিন্তু এখন আগের মতো জঙ্গল মহলে মাও সস্ক্রিয়তা নেই। শীর্ষ মাও নেতা,নেত্রীরা আত্ম সমর্পণ করেছেন সরকারের কাছে। তাই এবার এই গুহা জন সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার দাবী জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই গুহা উন্মুক্ত করতে প্রশাসন এগিয়ে আসে কিনা?

#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed] href="https://www.bankura24x7.com/despite-expiration-the-depositors-do-not-receive-money-protestors-at-the-shaltora-sub-post-office-in-protest/img-20190731-wa0007/" rel="attachment wp-att-5949">

Next Story