পঞ্চায়েত দখলের পর অফিসের রঙ গেরুয়া -সবুজ করে বিতর্কে বিজেপি, ফের নীল- সাদা ফেরানোর দাবী তৃণমূলের।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : রাইপুরে মন্ডলকুলী গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গেরুয়া - সবুজ রঙ করার ঘটনায়, এবার বিজেপি পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন রাইপুরের তৃণমূল বিধায়ক বীরেন্দ্র নাথ টুডু। তিনি বাঁকুড়া২৪X৭ এর প্রতিনিধি কে টেলিফোনে জানান, রাজ্য জুড়ে সব সরকারী দপ্তর,ভবনে নীল -সাদা রঙ করার রীতি রয়েছে। অথচ শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে বিজেপি এই রঙ বদল করেছে। আমরা বিডিও কে বলেছি। জেলাশাসক কেও জানাচ্ছি। আমরা চাই, রাজ্যের পরম্পরা মেনে মন্ডলকুলী পঞ্চায়েতের রঙ ও নীল- সাদায় 'ফের'- ফিরিয়ে দেওয়া হোক। নীল সাদা তো আর তৃণমূলের রঙ, এমনটা নয়। এটা সরকারের নির্বাচিত রঙ।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারী ক্ষেত্রে সারা রাজ্যে এই রঙ মান্যতা পেয়ে আসছে। তাহলে এখানে তার ব্যতিক্রম হবে কেন?
প্রসঙ্গত, জেলার রাইপুর ব্লকের মন্ডলকুলী গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পর বিজেপি অফিসের নীল সাদা রং রাতারাতি বদলে ফেলে গেরুয়া ও সবুজ রঙ করে।
পঞ্চায়েত অফিসের এই রঙ বদলের ঘটনাকে ঘিরে জেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে
সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে, মন্ডলকুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছে। তৃণমূল পেয়েছে মোটে দুটি আসন। ফলে শাসক দলের দাপট এই অঞ্চলে তলানিতে ঠেকেছে। সেই সুযোগে ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় করা নীল- সাদা রঙ হটিয়ে বিজেপি তাদের পছন্দের গেরুয়া-সবুজ রং করে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করে।
বিজেপি এই রঙ বদলের কৌশল নিয়ে নিম্ন মানের রাজনীতি করছে বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, বিজেপি পরিচালিত মন্ডলকুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বন্দনা মন্ডল জানান,স্থানীয় নেতৃত্ব রং নির্বাচন করেছেন। নিয়ম মেনে ঠিকাদার রং করেছেন। রং যে নীল সাদাই করতে হবে এমন কোন নির্দেশ আছে বলে আমার জানা নেই। একই সুরে এই রঙ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোন সরকারী বিধি নিষেধ নেই বলে দাবী করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রও। তার সাফ কথা আমরা আমাদের পছন্দের রং করেছি তাতে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে শাসক দল। তবে আমরা রঙ বদলে কোনো অবৈধ কাজ করেছি এমনটা নয়। ফলে এই রং আমরা রাখব। আর পাল্টা পরিবর্তন করব না।
অন্যদিকে,রঙ করার ক্ষেত্রে সরকারী স্তরে কোনো নির্দেশ না থাকায় ব্লক প্রশাসনের রঙ নির্বাচনে হস্তক্ষেপে করার কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন রাইপুরের বিডিও সঞ্জীব দাস।
তবে, রঙ বদল নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলছেই।
তৃণমূল, পঞ্চায়েত অফিসের রঙ বদলের মতো নীচু মানের বিজেপির এই রাজনীতিকে ধিক্কার জানিয়েছে।
তবে,রঙ নিয়ে এই রঙবাজীর ঘটনা জেলার রাজনীতিতে নুতন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে,তা বলাই বাহুল্য।
এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই গেরুয়া -সবুজ রং বজায় থাকে? না,ফের নীল - সাদাতে বদলে যায়?