সোনামুখী-পাত্রসায়র-ইন্দাস

বাবার সাথে মর্নিংওয়ার্কে বেরিয়ে দ্বারকেশ্বরে তলিয়ে গেল ছেলে, উদ্বারে নামল ডুবুরি দল, পাত্রসায়রের নান্দুর গ্রামের ঘটনা

বাবা ছেলে মিলে ভোর বেলা প্রাতঃভ্রমণে বের হন।আচমকা নদীতে নেমে পড়ে ছেলে। জলের ঘুর্ণিতে পা পড়তেই সামলে রাখতে পারে নি নিজেকে। শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে জলের পড়ে গিয়ে তলিয়ে যায় সে। ঘটনা টের পেতেই বাবা ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে জলে নেমে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও বিফল হন।খবর দেওয়া হয় পুলিশে।এরপরই ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি শুরু করে।

বাবার সাথে মর্নিংওয়ার্কে বেরিয়ে দ্বারকেশ্বরে তলিয়ে গেল ছেলে, উদ্বারে নামল ডুবুরি দল, পাত্রসায়রের নান্দুর গ্রামের ঘটনা
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (সৈয়দ মফিজুল হোদা,পাত্রসায়র ) : ভোর বেলায় আর পাঁচটা দিনের মতো বাবা ও ছেলে মিলে মর্নিং ওয়ার্ক করতে বের হয়েছিলেন বাড়ী থেকে। সেই সময় দ্বারকেশ্বর নদ গিয়ে নামে ছেলে। আচমকা জলের ঘূর্নিতে পা পড়তেই দেহের ভারসাম্য হারিয়ে জলে পড়ে যায় সে। সাথে,সাথে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান বাবা মধব ধারা। কিন্তু মূহুর্তের মধ্যে জলে তলিয়ে যায় বছর ২২ এর তরতাজা যুবক জয়ন্ত। বাবা মাধব বাবুর আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষও উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন কিন্তু জয়ন্তর কোন খোঁজ মেলেনি।

এর পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।ডুবুরি দল নামে উদ্ধার কাজে।কিন্তুঘটনার প্রায় ১০ ঘন্টা পরেও তার কোন খোঁজ মেলেনি। তার সন্ধানে ডুবুরির দল এখনও তল্লাসি চালাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে জেলার পাত্রসায়র থানা এলাকার জামকুড়ি অঞ্চলের নান্দুর গ্রামে।

এই গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় দর্জি মাধব ধারার অভাবের সংসার। এক ছেলে ও এক মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করছিলেন। ছেলে জয়ন্ত রাজ্য পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ পত্র শীঘ্রই পাবার কথা ছিল।বাবা ভেবেছিলেন এবার ছেলের রোজগার শুরু হলে সংসারের আভাব খানিক মিটবে। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই এভাবে যে ছেলেকে হারাতে হবে তা ভেবে উঠতে পারেন নি। এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় সারা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এদিকে,জলের স্রোতের গতি যেভাবে রয়েছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক দুর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে জয়ন্ত কে। তাই পার্শ্ববর্তী থানা গুলিও নদীর ওপর নজর রাখছে।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story