সোনামুখী-পাত্রসায়র-ইন্দাস

সাত সকালেই সোনামুখী শহরে দাপিয়ে বেড়াল দলছুট দামাল!আতঙ্কে দিশেহারা বাসিন্দারা।

সাত সকালেই সোনামুখী শহরে দাপিয়ে বেড়াল দলছুট দামাল!আতঙ্কে দিশেহারা বাসিন্দারা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জঙ্গল ছেড়ে একেবারে লোকালয়ে হানা গজরাজের।সাত সকালেই দুয়ারে গজরাজের আগমনে খানিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সোনামুখী পৌর শহরের শ্যাম বাজার রুদ্রপাড়া এলাকার বাদিন্দারা। শহর থেকে ফের গজরাজকে জঙ্গলে ফেরাতে এলাকার বাসিন্দারা জোট বেঁধে হাতি তাড়াতে নেমে পড়েন।


মানুষের হৈ,হুল্লোড়ে হাতিটিও মাঝে,মাঝে পাল্টা লোকজনকে তেড়ে এলে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার নেয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটবাস্থলে পৌঁছান বন দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা। অনেক কষ্টে অবশ্য গজরাজকে সোনামুখীর জঙ্গল অভিমুখে রওনা দেওয়াতে সফল হয় বন দপ্তর। এর ফলে হাফ ছেড়ে বাঁচেন এলাকার বাসিন্দারা। আপাতত সোনাামুখীর জঙ্গলেই রয়েছ এই দলছুট দামাল হাতিটি

বনদপ্তর সুত্রে খবর বড়জোড়া থেকে এই হাতিটি দলছুট হয়ে ঢুকে পড়ে সোনামুখী শহরে৷ প্রসঙ্গত,বড়জোড়ার দিক থেকে এই হাতিটি দলছুট হয়ে সোনামুখী পাড়ি দিলেও আজ ৫৫ টি হাতির দল বেলিয়াতোড় রেঞ্জের লাদুনিয়া ও কাঁটাপেসিয়া এলাকায় দুটি দলে ভাগ হয়ে ঘাটি গেড়েছে। এছাড়া গত রাতে সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমাজপতি পাড়ায় একটি হাতি গ্রামে ঢুকে তান্ডব চালায়। এবং আলু সহ মাঠের মরসুমী সবজির ব্যপক ক্ষতি করে।সোনামুখীর হাতি ২ টি সহ জেলায় ৫৭ টি হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে কাদুনিয়ায় ৩৯ টি এবং কাঁটাপেসিয়ায় ১৬ টি হাতি আজ ঘাটি গেড়েছে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। এবং এই হাতির দলের গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন বন কর্মীরা।


পাশাপাশি, এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কও থাকার আবেদনও করা হচ্ছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে। এদিকে,মাঠে আলু,পাকা ধান আর মরসুমী সবজি থাকায় হাতির হানায় এই সব ফসলের ক্ষতি ঠেকাতে বন দপ্তরের হাতি ঠেকানোর ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হওয়ার জোরালো দাবীও উঠছে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story