সোনামুখী-পাত্রসায়র-ইন্দাস

সোনামুখীতে হাতির হানায় মৃতের পরিবারের একজনকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা বন দপ্তরের।

সোনামুখীর ভুলা মৌজায় প্রায় চল্লিশটিরও বেশী হাতির দল ঘাটি গেড়েছে। এই হাতির দল হানা দিচ্ছে ধানের জমিতে। ধান জমিতে হাতির পালের হানা ঠেকাতে গিয়ে শেষে হাতির আক্রমণে প্রাণ গেল এক যুবকের। মঙ্গলবার রাতে সোনামুখীর কোচডিহিতে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর।

সোনামুখীতে হাতির হানায় মৃতের পরিবারের একজনকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা বন দপ্তরের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সোনামুখী জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় চল্লিশটিরও বেশী হাতির দল। জঙ্গল থেকে এই হাতির দল রাতের অন্ধকারে হানা দিচ্ছে গ্রামের ধান জমিতে। নষ্ট করছে ফসল। আর মাঠের ধান বাঁচাতে গ্রামের মানুষ হাতি তাড়াতে নেমে পড়ছেন। মঙ্গলবার রাতে সোনামুখীর কোচডিহি গ্রামে অন্যান্যদের সাথে হাতি তাড়াতে নেমেছিলেন মিলন কারক নামে এক বছর ২৫ এর যুবক। তিনি হাতি তাড়াতে গিয়ে গ্রামের অন্যান্যদের থেকে একা হয়ে পড়েন। আর পড়ে যান হাতির সামনে। সাথে,সাথে তাকে পায়ে থেঁতলে মেরে ফেলে হাতিটি। খবর পেয়ে দপ্তর ও সোনামুখী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এদিকে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বন দপ্তরের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের বাসিন্দারা।

এদিকে, সোনামুখীর বন দপ্তরের আধিকারিক দয়াল চক্রবর্তী এই ঘটনাকে বেদনাদায়ক আখ্যা দিয়ে বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী মৃতের পরিবারের একজনের চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে বন দপ্তর।

জেলায়, হাতির হানায় মৃত্যু রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলায় হাতির পালের আনাগোনাতেও বিরাম নেই। কিন্তু হাতির পালকে ঠেকাতে বন দপ্তরের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!,, তাদের গাফিলতিতেই জেলায় হাতির হানায় মৃত্যু বাড়ছে এমন অভিযোগ তুলছেন গ্রামের মানুষ জন। তাই হাতির হানায় মৃতুর দায় কি বন দপ্তর এড়াতে পারবে?এমন প্রশ্নও উঠছে!কিন্তু উত্তর এখনও অধরা।

দেখুন 🎦ভিডিও। 👇


Next Story