মৃত্যু ঠেকাতে বড়জোড়ার খনিতে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা, শীঘ্রই চালু হবে উৎপাদনও, জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
#EXCLUSIVE : বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বড়জোড়ার বাগুলি কয়লা খনিতে অবৈধ ভাবে কয়লা তুলতে গিয়ে, তিন জনের মৃত্যুর ঘটনার পর এবার পিডিসিএল খনি এলাকায় এই ধরনের মৃত্যু ঠেকাতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চলেছে বলে জানালেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাঁকুড়া২৪x৭কে টেলিফোনে একান্ত সাক্ষাৎকারে এই খবর জানান।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, তিন জনের গরীব মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, তা খুবই বেদনাদায়ক।এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি
না হয় সেই জন্যই বেআইনি কয়লা তোলা বন্ধ করতে, নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।পাশাপাশি, শীঘ্রই এই খনি থেকে কয়লা তোলারও কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মেলা এবং খনি টিকে কয়লা তোলার উপযোগী করে তোলার জন্য কিছু সময় লাগবে। তার পর পুরো মাত্রায় কয়লা উত্তোলন করবে পিডিসিএল বলেও জানান শোভন বাবু।
প্রসঙ্গত, বড়জোড়া নর্থ ব্লক কোলিয়ারী অর্থাৎ বাগুলি কয়লা খনিটি একসময় ডিভিসি ইজারা পেয়েছিল।সেই সময় ডিভিসি খনি থেকে কয়লা তোলা ও পরিবহনের জন্য বেসরকারি সংস্থা বেঙ্গল এমটাকে বরাত দেয়। সেই মতো কয়লা উত্তোলনও করছিল এমনটা।কিন্তু কোল গেট কেলেঙ্কারিরর পর ২০১৪ সালে ডিভিসি র হাত থেকে এই খনির মালিকানা কেড়ে,নেওয়া হয়।তখন থেকে খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এর পর ২০১৬ সালে নুতন করে এই খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের মালিকানা পায় রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড বা পিডিসিএল।
এই সংস্থা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন এবং পরিবহনের জন্য গুজরাটের একটি বেসরকারি সংস্থা মন্টিকার্লো ইন্ডিয়া কে বরাত দেয়।
কিন্তু তারা এখনও কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করতে পারেনি।সেই সুযোগে, স্থানীয় গ্রামবাসীদের কয়লা চুরির হিড়িক পড়ে গেছে এই খনি এলাকায়। আর কয়লা চুরি করতে গিয়েই খনি ধসে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এখনও রিঙ্কু বাউরী নামে এক মহিলার খোঁজ মেলেনি।আজও তার খোঁজে তল্লাসি চালানো হয়।বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ফের তল্লাসি চালাবে বলে জানা গেছে।