জঙ্গলমহল খাতড়া

জন অভিযোগ কেন্দ্রে সন্তানের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ তিনটি পরিবার।

জন অভিযোগ কেন্দ্রে সন্তানের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ তিনটি পরিবার।
X

# বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জন অভিযোগ দিবসে জেলাশাসকের কাছে নিজেদের সন্তান মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের আর্জি জানাতে ভীড় করছেন মা,বাবা রা। কেও আবার নিজের ছেলের আত্মহত্যায় প্রেমিকার বাবার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করায় এখন তার পরিবার কে খুনের হুমকি দেওয়ার নালিশও জানালেন জন অভিযোগ দিবসে। পাশাপাশি, বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র রূপম পালের মৃত্যুর তদন্তে গতি আনতে তার বাবাও হাজির হয়েছিলেন জেলাশাসকের দরবারে। কার্যত, পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে এবার এই গন অভিযোগ কেন্দ্রে সুবিচার পাবার আশায় নিজের প্রিয় সন্তান হারানোর ঘটনার তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন। জেলা শাসকও তাদের আর্জির কথা সরাসরি ফোন করে পুলিশ সুপারের নজরে আনছেন এই অভিযোগ কেন্দ্রে বসেই।

সিমলাপালের টিকর পাড়ার বাদিন্দা অপূর্ব কুমার বাগ তার ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার আভিযোগ দায়ের করেছিলেন ছেলের প্রেমিকার বাবার বিরুদ্ধে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছিল। এখন জামিন পেয়ে মামলা না তুলে নিলে তাকে ও পরিবার কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছেন। কাঁদতে, কাঁদতে বাঁচানোর আর্জি জানিয়ে তিনি জেলাশাসক উমা শঙ্কর এসের কাছে স্থানীয় থানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। অপুর্ব বাবুর ছেলে রাহুলের সাথে তার টিউশনের এক সহপাঠীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা মেয়েটির পরিবার জানতে পেরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সিমলাপালের মদন মোহন হাই স্কুলে ইংরাজি পরীক্ষার শেষে মেয়ের বাবা রাহুল কে জুতো পেটা করে। ও গালিগালাজ করে সকলের সামনে এই ঘটনার জেরে অপমানে বিষ খায় রাহুল। ১,লা মার্চ তা,টেরপান রাহুলের বাবা। ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ১৩ মার্চ মারা যায় রাহুল। এর পর মেয়ের বাবার নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথমে সিমলাপাল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে গড়িমসি করে। অপুর্ব বাবু পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানালে টনক নড়ে থনার। গ্রেপ্তার করা হয় মেয়ের বাবা কে। অভিযোগ জামিন পাওয়ার পর তিনি অপুর্ব বাবুকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুককী দিচ্ছেন। মামলা না তুললে পুরো পরিবার কে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকী দিচ্ছে মেয়ের বাবা এই অবস্থায় পরিবারের নিরাপত্তার দাবী ও দোষীর শাস্তির দাবী জানাতে সোমবার জেলা শাসকের স্বারস্থ হন তিনি। অন্যদিকে,প্রায় বছর দুই আগে জুনবেদিয়ার জোড়ে জলে ডুবে ছেলের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে জেলা শাসকের কাছে আবেদন জানালেন মৃত শেখ বান্টির মা আবেদা বিবি। শহরের কবরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আবেদা বিবির দাবী, তার ছেলে ভালো সাঁতার জানত,আর ভালো লম্বাও ছিল। সে সামান্য জলে কি করা ডুবে মারা গেল তা সন্দেহ জনক। তাই এর তদন্ত চেয়ে জেলাশাসকের কাছে আর্জি জানান। পাশাপাশি, গন অভিযোগ কেন্দ্রে পোয়া বাগানের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র রুপম পালের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গতি আনতে রূপমের বাবাও জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন। এভাবে একই দিনে তিন, তিন জন সন্তান হারানো মা,বাবার এই কেন্দে হাজির হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আলোড়ন পড়ে উপস্থিত জনতার মধ্যেও।

#দেখুন 🎦 ভিডিও।[embed] href="https://www.bankura24x7.com/five-demanded-the-deputation-of-the-vrp-organization-to-dm/img-20190819-wa0061/" rel="attachment wp-att-6186">

Next Story