জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়ার পুর প্রধানকে তুলোধূনা,বাড়ি,বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নিদান মুখ্যমন্ত্রীর।
![জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়ার পুর প্রধানকে তুলোধূনা,বাড়ি,বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নিদান মুখ্যমন্ত্রীর। জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়ার পুর প্রধানকে তুলোধূনা,বাড়ি,বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নিদান মুখ্যমন্ত্রীর।](https://www.bankura24x7.com/h-upload/old_feeds/218787-sketch-15815087331211200x600.jpg)
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়া পুরসভার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে কার্যত তূলোধূনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এদিনের বৈঠকে উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়ালকে আমন্ত্রণ না করায় ক্ষুব্ধও হন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সরাসরি মহাপ্রসাদ বাবুকে তিনি প্রশ্ন করেন, আদৌ পুরপ্রধান কাজ, টাজ করেন কিনা? পাশাপাশি, তার বিরুদ্ধে ভুরি,ভুরি অভিযোগ কানে আসার প্রসঙ্গ তুলে, ধমকও দেন তাকে। আচমকা, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুপ মনোভাব দেখে খানিক থতমত খেয়ে মহাপ্রসাদ বাবু বলেন, তিনি নাকি দিন রাত ঘোরেন। এই কথা শুনে আরও চটে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেকে হনু না ভেবে পাবলিকের বাড়ি,বাড়ি গিয়ে, তার খারাপ ব্যবহারে জন্য যেন ক্ষমা চেয়ে নেন। পাশাপাশি,উপপুর প্রধান দিলীপ আগরওয়ালকে সাথে নিয়ে কাজ করারও পরামর্শ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত,বাঁকুড়া পুরসভায় পুর প্রধান ও উপ পুর প্রধানের ইগোর লড়াই দীর্ঘ দিনের। এই দুই লবির লড়াইয়ে, শহরের রাজনীতির জল এর আগে অনেকবার ঘোলা হয়েছে। নিজের ক্ষোভের কথা সোস্যাল সাইটে পোস্ট করে, এর আগে পদত্যাগেরও ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন উপ পুর প্রধান দিলীপ আগরওয়াল। শেষে, দলের বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যস্ততায় দিলীপ বাবু পদত্যাগ থেকে বিরত থাকেন। ইতি মধ্যে, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের 'টিম আইপ্যাক' লোকসভা ভোটে তৃণমূলের পুর শহর গুলিতে খারাপ ফল করার কারণ খুঁজতে সার্ভে করে। সূত্রের খবর, সেখানে বাঁকুড়া শহরে দলের ভাব মূর্তি খারাপের পিছনে বাঁকুড়া পুরসভার কাজকর্মের ওপর মানুষের ক্ষোভ অন্যতম কারণ বলে চিহ্ণিত হয়। তাই, আসন্ন পুরভোটের আগে শহরবাসীর কাছে আগের মতো তৃণমূলের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিতে চান দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পুরপ্রধানের আচার,আচরন বা ব্যবহারে পুরবাসীরা ক্ষুব্ধ হলে তার দায় যে পুরপ্রধানের ঘাড়ে চাপবে তাও কার্যত এদিন তিনি স্পষ্ট করেদেন। এবং মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য বাড়ি,বাড়ি গিয়ে পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল জানান, শহরের উন্নয়ন ও দলের প্রতি দায়বদ্ধতার নিরিখে তিনি সবসময় মহাপ্রসাদ বাবুর সাথে কাঁধে,কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। আর এই সুযোগ দিদি তাকে দেওয়ায় দিদির প্রতি দিলীপ বাবু কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
তাই এবার, দ্বন্দ্ব দূরে ঠেলে এই দুই পুরকর্তার যৌথ কাজ শেষ পর্যন্ত, শহরের উন্নয়নে কতখানি গতি আনে সেদিকেই নজর রইল শহরবাসীর।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]