সারেঙ্গার জলের ট্যাংক ভেঙ্গে পড়ায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা, জানালেন পিএইচই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সারেঙ্গার ফতেডাঙ্গায় হুড়মুড়িয়ে বিশাল মাপের জলের ট্যাংক ভেঙ্গে পড়ার ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়ল রাহ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। ঘটনার পর দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের নির্দেশে এই কমিটি গড়া হয়। মন্ত্রী জানান, এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । কাওকে রেওয়াত করা হবে না। যার দোষ থাকবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। তবে এই ঘটনায় বিরোধীরা যে ভাবে রাজনৈতিক কথাবার্তা বলছে তাতে গুরুত্ব দিতে চান না তিনি। তার যুক্তি, রাজ্যে এরকম অনেক ট্যাংক তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে দূর্ঘটনা বসত একটা ভেঙ্গেছে। আর এলাকায় জল সরবরাহ আমরা স্বাভাবিক রেখেছি। এলাকায় পানীয় জলের জোগানে কোন ঘাটতি থাকবে না। দপ্তর সেই মতো কাজ করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত,পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বিআরজিএফ(ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্র্যান্ট ফান্ড) তহবিল থেকে ৭ লাখ লিটার জল ধারণা ক্ষমতা সম্পন্ন এই ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয় ২০১২ সালে।এরপর কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে।এবং ওভারহেড ট্যাংকটির উদ্বোধন হয় ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ। সেদিন কুসুমটিকরি গ্রামের মাঠে সারেঙ্গা ও সিমলাপাল ব্লক এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েত দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের গড়গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ফতেডাঙ্গার এই ট্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩ টি মৌজায় জল সরবরাহ করা হত। জানা গেছে ট্যাংকটির রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব এখনও রয়েছে এজেন্সির হাতেই। তাই সেই নিয়মে নির্মানের বরাত পাওয়া ঠীকা এজেন্সির ওপরই এই দূর্ঘটনার দায় পড়বে। এদিকে, কংসাবতী থেকে পাম্পে করে জল সরাসরি পাইপ লাইনে সরবরাহের ব্যবস্থা চালু করে গ্রামের ২৩ টি মৌজাতে পানীয় জলের সরবরাহ রাখাই খুশী এলাকার মানুষ।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]