জঙ্গলমহল খাতড়া

জীবনের প্রথম 'বইমেলা'য় পা রেখে, "মেলা" আনন্দে ভাসল বেঠুয়ালার সনকা,মৌসুমীর মতো আদিবাসী পড়ুয়ারা।

জীবনের প্রথম বইমেলায় পা রেখে, মেলা আনন্দে ভাসল বেঠুয়ালার সনকা,মৌসুমীর মতো আদিবাসী পড়ুয়ারা।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কেও পড়ে ক্লাস নাইনে,কেও বা ক্লাস টেনে,তবুও চাক্ষুষ বইমেলা দেখার সুযোগ মেলেনি এদের! বই মেলা সম্বন্ধে এদের যেটুকু ধারনা ছিল, তা বাংলা রচনা বইয়ে বা ইংরাজী প্যারাগ্রাফ লেখার সময় মুখস্থ করে অর্জন করা!

আজ,জীবনের প্রথম বইমেলায় পা রাখল জঙ্গল মহলের প্রত্যন্ত গ্রামের সনকা মান্ডি,মৌসুমী বাস্কের মতো প্রায় ৩২ জন স্কুল পড়ুয়া। এরা সকলে একদা মাও অধ্যুষিত জঙ্গল মহলের রানীবাঁধের ব্লকের বেঠুয়ালা গ্রামের 'বেঠুয়ালা গর্ভমেন্ট স্পনসরড আশ্রম টাইপ গার্লস হাই স্কুলে'র ছাত্রী।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বর্ণালী চট্টোপাধ্যায় এবছর স্কুলের ছাত্রীদের বই মেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেন।গাড়ী করে সুদুর বেঠুয়ালা থেকে সদর শহরের খ্রীস্টান কলেজ ময়দানে বই মেলায় আনা হয় এদের।বইয়ের হরেক স্টল।আর লোকজনের ভীড় ও নানা বিনোদনের পসরা দেখে অভিভুত এই আদিবাসী পড়ুয়ারা।যে যার নিজের মতো করে বান্ধবীদের সাথে ঘুরে,ঘুরে বই কেনা,মেলার আনন্দ নেওয়া, আর বইয়ে পড়া বইমেলার সাথে বাস্তব "বই মেলা "-দেখার তফাত টা তারিয়ে,তারিয়ে উপভোগ করতেই কয়েক ঘন্টা নিমেষে কেটে গেল এদের। গল্পের বই,ক্যুইজের বই যেমন মন কাড়ল এদের তেমন, নিজেদের অলচিকি হরপে লেখা গল্পের বই, ছোট,ছোট চুটকি বইও ওদের মন টানল,কেও তো আবার মা,ঠাকুমাকে পড়ে শোনানোর জন্য রামায়ন,মহাভারতের বইও কিনে ফেলল।

জীবনের প্রথম বই মেলা দেখার সুযোগ মেলায় এরা সকলেই খুশী।

বই মেলায় "মেলা আনন্দে" কাটাল মৌসুমী,সনকারা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বর্ণালী চট্টোপাধ্যায় জানান, এই বই মেলার আনন্দ জঙ্গলমহলের প্রান্তিক স্কুল পড়ুয়াদের কাছে অধরাই ছিল এতদিন।এখন জঙ্গল মহলের শান্ত,ও সুস্থ পরিবেশ। তাই, এদের এই বই মেলা দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় স্কুল থেকে।

ওরা যে যার নিজের ব্যক্তিগত পছন্দের বই যেমন কিনেছে,তেমনি স্কুলের লাইব্রেরির জন্যও বই বেছে দিয়েছে ।আমরাও ওদের পছন্দকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

আমরাও ওদের বইমেলা দেখার সুযোগ করে দিতে পেরে আপ্লুত!এবার থেকে প্রতি বছর এই ব্যবস্থা রাখারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে স্কুলের পক্ষ থেকে। এমনটাও জানালেন বর্ণালী দেবী।

#দেখুন ভিডিও।[embed]

Next Story