জঙ্গলমহল খাতড়া

খোলা জায়গায় মলত্যাগ ঠেকাতে, কাকভোরে বাঁশি ফুঁকে বিডিও'র হানদারি রাইপুরের গ্রামে,গ্রামে!

খোলা জায়গায় মলত্যাগ ঠেকাতে, কাকভোরে বাঁশি ফুঁকে বিডিওর হানদারি রাইপুরের গ্রামে,গ্রামে!
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নির্মল ব্লকের তকমা মিললেও,এখনও খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যেস বদলায়নি জঙ্গল মহলের রায়পুর ব্লকের গ্রামগুলিতে!

তাই এবার সেই অভ্যেস বদলানোর জন্য কোমর বেঁধে নামল রাইপুর ব্লক প্রসাশন।

মাঠে,ঘাটে, খোলা জায়গায় মলত্যাগের অভ্যেস ঠেকাতে অভিনব পন্থা নিলেন রাইপুরের বিডিও সঞ্জীব দাস।

কাকভোরে নদী বা পুকুর ঘাট সংলগ্ন মাঠে বাঁশি নিয়ে হানা দিচ্ছেন! আচমকা, হুইসেল শুনে প্রাতঃকর্ম ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেই হাতে নাতে পাকড়াও করছেন তিনি। এরপর, চলছে বোঝানোর পর্ব।

তারপর, অঙ্গীকার করলে তবেই, ছাড় মিলছে ওই ব্যক্তির।

কাকভোরে স্থানীয় সমাজসেবী ও গণ্য -মান্য কয়েকজন কে সাথে নিয়ে এই হানাদারি চলছে।

বিডিওর সওয়ারি গাড়ীতে মিশন নির্মল বাংলার ফ্লেক্স বেঁধে চলছে খোলা জায়গায় মলত্যাগ ঠেকানোর লাগাতর অভিযান।

কংসাবতী নদীর তিনটি ঘাট,কামারডিহা বাঁধ,বাঁধ গোড়া, ধানারা,শ্যামসুন্দর পুর প্রভৃতি এলাকায় নিয়মিত এই অভিযান চলবে বলে জানা গেছে।পাশাপাশি, বিডিও নিজে গ্রামের বাড়ী,বাড়ী গিয়ে মহিলাদেরও বিষয়টি বোঝাচ্ছেন।

তিনি জানান,বাড়ীতে শৌচাগার থাকলেও কেবল অভ্যেসের বসে, খোলা মাঠে মলত্যাগের প্রবনতা ঠেকাতে- এই অভিযান শুরু হয়েছে। রাইপুর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধাদেরও এমন কর্মসূচী নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে,এই ব্লকে নির্মল বাংলার বেশ লাইন সার্ভে মতো ৩২ হাজার শৌচাগার তৈরী হয়েছে। তবে,এখনও প্রচুর সংখ্যক পরিবারে শৌচাগার নেই। তারা বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় মল ত্যাগ করেন। এবার তাদের জন্য ও শৌচাগার তৈরীর বিষয়টিও দেখছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত,আগামী ১৯ নভেম্বর রাজ্যের ১৯ তম জেলা হিসেবে নির্মল জেলার তকমা পাচ্ছে বাঁকুড়া জেলা। তার আগে, রাইপুর বিডিওর এই উদ্যোগ জেলার নির্মল পরিবেশ গড়তে আরও সহায়ক হবে তা বলাই বাহুল্য।

#দেখুন ভিডিও।[embed]

Next Story