ব্রেকিং নিউজ

আট দিন ধরে, অকাল রথের মেলায় মাতোয়ারা তপোবন !

আট দিন ধরে, অকাল রথের মেলায় মাতোয়ারা তপোবন !
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এই গ্রামে দূর্গা পূজো হয় না! তবে বিজয়া দশমী থেকে "বিজয় রথ"-উৎসবে মাতেন এই গ্রামের মানুষ।

জেলার ওন্দা থানার তপোবন গ্রামে টানা আট দিন ধরে চলে এই বিজয় রথের মেলা।

জানা যায়,প্রায় সাড়ে তিনশো বছরেরও প্রাচীন এই অকাল রথের মেলা।

শ্রী রামচন্দ্রের হাতে রাবন বধের পর, হওয়া বিজয় রথ যাত্রার স্মরণেই এই তপোবন গ্রামে বিজয় রথ যাত্রার প্রচলন হয়।

কথিত আছে, তখন দ্বারকেশ্বর নদের জলে ভেসে আসা কাঠ দিয়ে রথ তৈরী করা হত। আবার আট দিনের রথ উৎসব শেষে, রথের কাঠ ফের ভাসিয়ে দেওয়া হতে নদীর জলে।

কালক্রমে নদী তার নাব্যতা হারিয়েছে। আর কাঠ ভেসে আসাতেও ছেদ পড়ে গিয়েছে। তাই, এখন গ্রামবাসীরা পিতলের রথ বানিয়েছেন। সেই রথেই চলছে মেলা।

দশমীর দিন গ্রামের রঘুনাথ জীউয়ের মন্দির থেকে রথের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। রথে সওয়ার হন: শ্রী রাম চন্দ্র, সীতাদেবী,লক্ষণ, হনুমান, জাম্বুবান, বিষ্ণুদেব ও শালগ্রাম শিলা রূপী নারায়ন।

প্রতিদিন, প্রায় এক কিলোমিটার করে পথ পাড়ি দেয় এই বিজয় রথ। বসে, বিশাল মেলা! তপোবনের পাশাপাশি, পড়শী গ্রাম ও শহর বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর থেকেও প্রচুর মানুষ এই রথের মেলায় ভীড় জমান।

গ্রামে বছরের সবচেয়ে বড়ো পরব এই বিজয় রথ যাত্রা।

ফলে এই রথ পরবের মেলা কার্যত মিলন মেলায় পরিনত হয়। পুরানো বন্ধুবান্ধব, বা দূরে থাকা আত্মীয় স্বজনরা মেলার টানে এই সময় গ্রামে ফেরেন। ফলে, তাদের একে অপরকে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেয় এই মেলা। এটাও গ্রামবাসীদের কাছে বড়ো পাওনা।

আর, তার সাথে রয়েছে আট দিন ধরে আনন্দ উপভোগের ষোলোঅানা ব্যবস্থা।

তাই, গ্রমবাসীদের দাবী, দূর্গা পূজোর দ্বিগুণ আনন্দ মেলে এই রামচন্দ্রের বিজয় রথ যাত্রায়!

#দেখুন ভিডিও।

[embed]

Next Story