নজরে ভোট

আগামী বিধানসভায় নয়া জোট সমীকরণের ঈঙ্গিত! তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের জন্য সিপিএমকে একসাথে লড়াইয়ের ডাক মিঠুন চক্রবর্তীর।

রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মিঠুন চক্রবর্তীর এই ডাক বিরোধী রাজনীতির সমীকরণে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাঁর মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে!

আগামী বিধানসভায় নয়া জোট সমীকরণের ঈঙ্গিত! তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের জন্য সিপিএমকে একসাথে লড়াইয়ের ডাক মিঠুন চক্রবর্তীর।
X

বাঁকুড়া ২৪x৭প্রতিবেদন : রাজনীতিতে ফের চর্চার কেন্দ্রে উঠে এলেন বিজেপি নেতা ও বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া বাইপাস রোডের একটি বেসরকারি লজে দলীয় সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এমন এক মন্তব্য করলেন, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। মিঠুনের সোজাসাপ্টা বক্তব্য— “তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের জন্য সিপিএমকেও এগিয়ে এসে একসাথে লড়াই করতে হবে।”চাপড়ায় সিপিএম কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে খুনোখুনির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। “মানুষ রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। শুধু বিরোধী শিবির নয়, তৃণমূলের লোকেরাও আজ পুলিশের প্রতি ভরসা রাখতে পারছে না”— মন্তব্য মিঠুনের।

তিনি আরও জানান, কোচবিহারে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। মিঠুনের মতে, এটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, মিঠুন চক্রবর্তীর এই বক্তব্য কেবলমাত্র রাজনৈতিক সমালোচনা নয়, বরং এটি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য বিরোধী ঐক্যের এক প্রাথমিক ইঙ্গিত। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি এবং সিপিএম একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, তৃণমূল বিরোধিতায় দুই দলের রাজনৈতিক দূরত্ব কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা শুরু হতে পারে— এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।


রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মিঠুন চক্রবর্তীর এই ডাক বিরোধী রাজনীতির সমীকরণে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাঁর মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে, আর তৃণমূলের পক্ষ9 থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের.।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও।

Next Story