নজরে ভোট

গন্ধেশ্বরী সেতুর উদ্বোধনী ফলকে বানান বিভ্রাট,শীঘ্রই সংশোধনের আশ্বাস জেলাশাসকের।

গন্ধেশ্বরী সেতুর উদ্বোধনী ফলকে গন্ধেশ্বরী শব্দে বানান বিভ্রাটের জেরে বিতর্ক তৈরী হয়।এই নিয়ে শহর জুড়ে জোর সমালোচনা চলছে।বিশিষ্ট জনেরা সোস্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন। তবে, এই বানান সংশোধনের করে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।

গন্ধেশ্বরী সেতুর উদ্বোধনী ফলকে বানান বিভ্রাট,শীঘ্রই সংশোধনের আশ্বাস জেলাশাসকের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান।বুধবার থেকে চালু হল বাঁকুড়া - কেশিয়াকোল গন্ধেশ্বরী সেতু।নবান্ন থেকে এই সেতুর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধন পর্বের পর বিকেলে স্থানীয় প্রশাসন আলাদাভাবে এই সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।জেলাশাসক কে,রাধিকা আয়ার,পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারী,বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদার পুজো দিয়ে,নারকেল ফাটিয়ে সেতুর উদ্বোধন সারেন।তার পর পুরো সেতু পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন তারা। এদিকে, গন্ধেশ্বরী সেতুর উদ্বোধনী ফলকে গন্ধেশ্বরী শব্দে বানান বিভ্রাটের জেরে বিতর্ক তৈরী হয়।

শ্ব-এর স্থলে স্ব -লেখা হয়েছে এই ফলকে।যা নিয়ে শহর জুড়ে জোর সমালোচনা চলছে।অনেক বিশিষ্ট জনেরা সোস্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন। তবে এই বানান খুব শীঘ্রই সংশোধন করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক কে,রাধিকা আয়ার।প্রসঙ্গত, এই সেতু চালু হওয়ায় বাঁকুড়া শহর থেকে গন্ধেশ্বরীর ওপারে কেশিয়াকোল,বিকনা,মানপাড়া,মৌলাডাঙ্গা,পুরন্দরপুর,মাকুড়গ্রাম,মিথিলা সহ বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের আর বড়ো ব্রীজ হয়ে ঘুর পথে যাতায়াত করতে হবেনা। পাশাপাশি,বর্ষার মরসুমে নদী উপচে সতীঘাট বাইপাসে রাস্তায় জল ওঠার মতো সমস্যাও থাকবেনা।

২০১৮ সালে এই সেতু তৈরীর অনুমোদন দেয় রাজ্য সরকার।রাজ্যের পুর্ত দপ্তর সেতু তৈরীর দায়িত্ব নেয়।এরপর কাজ শুরু হলেও নদী গর্ভে পাথরের স্তর মেলায় সেতুর পিলার তৈরীর খনন কাজ থমকে যায়।পরে ধাপে,ধাপে কন্ট্রোল ব্লাস্টিং করে ওই পাথরের স্তর ফাটিয়ে খনন কাজ সারা হয়।তা করতেই কয়েক বছর গড়িয়ে যায়।পাশাপাশি,কোভিড পরিস্থিতিতেও সেতু তৈরীর কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল।এর জেরে সেতুর কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগে।এই সেতু তৈরীর জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ত দপ্তর।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সেতু চালু হওয়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এই সেতুকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে ঝড় তুলবে।এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story