নজরে ভোট

সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে গোজ প্রার্থী দাঁড় করাতে ছাতনায় প্রস্তুতি বৈঠক,প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব জীবন চক্রবর্তীর নাম।

বৈঠকে ঠিক হয়, বিজেপি রাজ্য ও কেন্দ্র নেতৃত্বকে বাঁকুড়া লোকসভায় প্রার্থী বদলের জন্য আবেদন জানানো হবে।এবং সেই আবেদনে সাড়া না মিললে, ছাতনা এলাকার বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তীকে সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে গোজ প্রার্থী হিসেবে খাড়া করা হবে।

সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে গোজ প্রার্থী দাঁড় করাতে ছাতনায় প্রস্তুতি বৈঠক,প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব জীবন চক্রবর্তীর নাম।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ছাতনার বাসুলী দেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে সুভাষ সরকারের বিরোধী লবি হিসেবে পরিচিত বিজেপির একাংশ রিতীমত সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে অল- আউট লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি সের ফেলল। জেলার ৬ টি বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন ব্লক থেকে জীবন চক্রবর্তীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত বিজেপির লোকজন এদিন ছাতনায় বৈঠক করেন।বৈঠকে ঠিক হয়, বিজেপি রাজ্য ও কেন্দ্র নেতৃত্বকে বাঁকুড়া লোকসভায় প্রার্থী বদলের জন্য আবেদন জানানো হবে।এবং সেই আবেদনে সাড়া না মিললে, ছাতনা এলাকার বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তী কে সুভাষ বাবুর বিরুদ্ধে গোজ প্রার্থী হিসেবে খাড়া করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জীবন বাবু রাজ্যস্তরে রাহুল সিনহার লবির লোক হিসেবে পরিচিত।তিনিই সুভাষ বাবুর বিরুদ্ধে গোজ প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন।তার জন্য এদিন চুড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন সুভাষ বিরোধী বিজেপি লবি।জানা গেছে,এই বৈঠকে রানিবাঁধ বিধানসভার শ্যাম মাহাতো,খুদিরাম মান্ডি,তালডাংরা বিধানসভার চক্রধর মাহাতো,বাঁকুড়া বিধানসভার অনিল বরণ ঘোষ, দুর্গাদাস চট্টোপাধ্যায়, ভগবতী প্রসাদ বাজোরিয়া এবং ছাতনা বিধানসভার অশোক বিদ,শ্যামসুন্দর মন্ডল‌ শালতোড়া বিধানসভার অরূপ মন্ডল, দীপক পরামানিক সহ একাধিক বিজেপির একদা পরিচিত মুখ উপস্থিত ছিলেন।

যারা আটের ও নয়ের দশকে বিজেপির জেলার কার্যকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন৷ এদিন,সুভাষ বাবুকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন জীবন চক্রবর্তী।এদিকে,সুভাষ বাবুর এই বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া না মিললেও তার অনুগামীদের দাবি,গোজ প্রার্থী নিয়ে তাদের কোন ম্যাথা ব্যাথা নেই।গত লোকসভা ভোটে শিবসেনা সুভাষ সরকার নামে গোঁজ প্রার্থী দিলেও মানুষ তাতে বিভ্রান্ত হননি এবং ডাক্তার বাবু বিজয়ী হন। এবারো জয় আটকাতে পারবে না বিরোধীদের সাথে আঁতাত করে যারা নিজেদের বিজেপি হিসেবে দাবি করছেন,তাদের সিংহ ভাগই এখন বিজেপিতে সক্রিয় হিসেবে নেই৷ এবং অফিসিয়াল কোন পদেও তাদের নাম নেই।

শুধুমাত্র বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করাই এদের কাজ। এনটা দাবি করছেন সুভাষ আনুগামীরা৷ এখন, দেখার শেষ পর্যন্ত জীবন বাবু গোজ প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান,না শেষ পর্যন্ত দলের নির্দেশে সুভাষ বাবুর হয়েই ভোটের ময়দানে নামেন? তা নিয়ে জেলার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নানা জল্পনাও চলছে।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇

Next Story