বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত মহিলা বন্দিদের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ জাতীয় মহিলা কমিশনের।

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া জেলায় গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত মহিলাদের সংখ্যা নজিরবিহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ চেপে রাখতে পারলেন না জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে মহিলা বন্দিদের অবস্থা,প্রাপ্য পরিষেবা,মহিলা বন্দিদের খাবার দাবার,স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা সহ সামগ্রিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন।এমনকি, তারা মহিলা বন্দিদের সাথে কথাও বলেন৷এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার।তিনি উদ্বেগের সাথে জানান,বাঁকুড়ায় গার্হস্থ্য হিংসায় মহিলাদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনা অনেক বেড়ে গিয়েছে।এমনকি গার্হস্থ্য হিংসার জেরে মহিলারা খুন পর্যন্ত করে ফেলছেন।বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বর্তমানে ২৬ জন মহিলা বন্দি রয়েছেন তাদের মধ্যে ২০ জনই গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত।

আবার, অনেকের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসায় খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও রয়েছে। পাশাপাশি সাজা প্রাপ্ত ৮ মহিলাও বন্দিও গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় আসামী। তাই এই গার্হস্থ্য হিংসাকে প্রতিহত করতে পরিবারের পাশাপাশি, সামাজিক স্তরে এবং পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার দাওয়াই দেন তিনি। পাশাপাশি,অর্চনা দেবি আরও জানান, রাজ্যের অন্যান্য জেলার সংশোধনাগার গুলির মতো বাঁকুড়ায় অবশ্য অনুপ্রবেশ, চুরি,ডাকাতি,নারী ও শিশু পাচারের মতো অপরাধে অভিযুক্ত মহিলা বন্দি তেমন নাই।জেলায় গার্হস্থ্য হিংসার সাথে এভাবে মহিলাদের অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনার পরিসংখ্যান রিতীমত উদ্বেগের। বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে মহিলা বন্দির প্রায় ৮০ শতাংশই গার্হস্থ্য হিংসার অপরাধে অভিযুক্ত। এমনটাই  সংশোধনাগারের পরিসংখ্যানে উঠে আসছে। 

তাই,পরিবার ও পুলিশ,প্রশাসনের ইতিবাচক ভুমিকার পাশাপাশি, জেলার বিভিন্ন মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও রাজনৈতিক দল গুলির মহিলা শাখা সংগঠন গুলিকেও এই গার্হস্থ্য হিংসায় মহিলাদের জড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নানা সচেতনামূলক কর্মসুচি নেওয়া উচিত,তা বলাই বাহুল্য।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇