এবার হাতির হানায় ফসল নষ্ট জঙ্গল মহলে! চাষীদের দাবী ক্ষতিপূরণ নয়,হাতির পাল ঠেকানোতে জোর দিক বনদপ্তর।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (সঞ্জয় ঘটক,সারেঙ্গা) : এবার জেলার দক্ষিণেও শুরু হল চাষ জমিতে হাতির হানাদারি! জেলার জঙ্গল মহলের সারেঙ্গায় গত কয়েক দিনে আলু খেত আর সরষে খেতে হানা দিয়ে হাতির দল ব্যাপক ক্ষতি করেছে ফসলের। ফলে মাথায় হাত চাষীদের। সারেঙ্গা ব্লকের গোবিন্দপুর,হাঁসাবেড়িয়া গ্রামে তিনটে হাতি আলু জমিতে ভালো ক্ষতি করেছে। ফলে ফণী দুলের মতো প্রান্তিক চাষীদের এখন করুণ অবস্থা। ধার,দেনা করে আলু লাগিয়ে এবার হাতির হানায় আর ফসল তুলতে পারবেন না এলাকার এমন অনেক চাষী। তাদের রুজিতে টান ধরবে বিস্তর। যদিও বন দপ্তরের পক্ষে রেঞ্জার রাজীব লামা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা হাতির হানায় ফসলের ক্ষতিপূরণ পাবেন। বন দপ্তর ক্ষয়,ক্ষতি খতিয়ে দেখে চাষীদের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা তুলে দেবে।তবে এই ক্ষতিপূরণে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলে দাবী চাষীদের। তাদের দাবী মাঠের ফসল বাঁচানোর একটাই উপায় এলাকায় হাতি ঢোকা ঠেকানো। এই কাজে বন দপ্তর ব্যার্থ হলে ফসল বাঁচানো দুষ্কর। তাই গ্রামবাসীরা চান বন দপ্তর চাষের জমি থেকে হাতি তাড়াতে বিশেষ অভিযানে নামুক। কিন্তু সারেঙ্গায় ঢুকে পড়া হাতির দলে বেশ কিছু বাচ্চা হাতি থাকায় বাচ্চাদের কথা ভেবে হাতি তাড়াতে লঙ ড্রাইভে যেতে চাইছে না বন দপ্তর। কারণ লম্বা অভিযান হলে বাচ্চা,বা শাবক হাতি গুলি অতখানি পথ দৌড়তে পারবে না। তাই হুলা পার্টি দিয়ে হাতি ঝাড়গ্রাম বা বান্দোয়ানে পাঠানো থমকে গেছে। আর সেই ফাঁকে সারেঙ্গায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমিতে ফসল নষ্ট করছে হাতির পাল।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]