জনমত সমীক্ষা করতে গিয়ে ধৃত ৫ জনকে পুলিশ হেফাজতে ম্যারাথন জেরা,সমীক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য জানতে মরিয়া পুলিশ।

ধৃতদের দাবি,তারা একটি বেসরকারী সমীক্ষক সংস্থার হয়ে জনমত সমীক্ষার কাজ করছিলেন।এবং সমীক্ষা চালানোর আগে স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাদের আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।;

Update: 2025-05-27 13:38 GMT

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : শুধু বাঁকুড়া নয়,রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জনমত সমীক্ষা চালাতে গিয়ে সমীক্ষক দলের লোকজনদের ধরা পড়ার ঘটনা ঘটছে। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস,তালডাংরার পর বাঁকুড়া শহরেও এমন একটি সমীক্ষক সংস্থার প্রতিনিধি বলে দাবী করা, দুই মহিলা সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটল। সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে ধৃতদের তোলা হলে, বিচারক তাদের ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত,রবিবার এই ৫ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। বাঁকুড়া পুর শহরের ১৫ নাম্বার ওয়ার্ডে এই দলটি সমীক্ষা চালাতে গেলে,স্থানীয়দের তা নজরে পড়ে। এবং তৃণমূলের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক টুটুন দাস সমীক্ষক দলের প্রতিনিধি বলে দাবি করা,পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাদের কথায় অসংগতি টের পান।

সাথে,সাথে তিনি বাঁকুড়া সদর থানায় জানান।পুলিশ এসে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে৷ ধৃতদের মধ্যে দুইজন মহিলাও আছেন।একজনের বাড়ি পুর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে এবং বাকিরা বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা। ধৃত ৫ জনকে সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়।ধৃতদের দাবি,তারা একটি বেসরকারী সমীক্ষক সংস্থার হয়ে জনমত সমীক্ষার কাজ করছিলেন।এবং সমীক্ষা চালানোর আগে স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাদের আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঠিক কোন অভিযোগ রয়েছে এবং কেন পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে? তা,তারা জানেন না বলে দাবি করেছেন। এদিকে,আদালত ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

এই দুই দিন পুলিশ ধৃতদের ম্যারাথন জেরা চালিয়ে এই সমীক্ষার আসল উদ্দেশ্য কি তা কিনারা করতে চাইছে। ধৃতদের সাথে সত্যিই কোন সংস্থার যোগ আছে,না এরা মিথ্যে পরিচয় দিয়ে সমীক্ষার নামে মানুষের আধার,ভোটার কার্ড এবং মোবাইল নাম্বার সহ একাধিক ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা সাইবার জালিয়াতদের পাচার করত? এসবই যাচাই করে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত,জনমত সমীক্ষা চালানো কোন অবৈধ কাজ বা অপরাধ নয়। বড়ো,বড়ো সমীক্ষক সংস্থার এই সমীক্ষা চালাতে এবং তথ্য সংগ্রহ ও জনমত জানার অধিকারও আছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যারা সমীক্ষা করছেন,তারা সেই সংস্থার আই কার্ড দেখাতে পারছেন না কেন? আর সমীক্ষক সংস্থা গুলোও বলছেন না যে, তাদের কর্মী বা প্রতিনিধি কে পুলিশ অকারণে গ্রেপ্তার করছে?

তাই, এই সমীক্ষা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধাটাই স্বাভাবিক। এখন যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় এরা ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এসব কাজ করছিল,তাহলে এরা কোন চক্রের সাথে যুক্ত তার কিনারা করতে হবে পুলিশকেই, তা বলাই বাহুল্য। তবে,আম জনতার উচিত কোনরকম সন্দেহজনক মনে হলে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য কাওকে না দেওয়া। এবং প্রয়োজন মনে করলে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া। অন্যদিকে,এই ধরা পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপান উতোরও চলছে পুরোদমে। তৃণমূল বলছে এসব বিজেপির কাজ।তারা বিধানসভা ভোটের আগে এই সব সমীক্ষা চালাচ্ছে।এবং এলাকায় কেও সমীক্ষা করতে এলে,কোন তথ্য না দিয়ে থানায় জানানোর নিদানও দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। অন্যদিকে,বিজেপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে,তৃণমূল ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।

এই ঘটনার সাথে বিজেপির কোন যোগ নেই। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৃণমূল বিজেপিকে জড়াতে চাইছে। আসল ঘটনা কি তা রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনুক।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News