বড়জোড়ায় ফেরি করতে আসা এক মুর্শিদাবাদের যুবকের সোস্যাল মিডিয়াতে দেশ বিরোধী পোস্ট,ধৃতের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত,জঙ্গি যোগ আছে কিনা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ধৃতের সাথে আদৌ কোন জঙ্গি যোগ আছে কিনা তা জানতে মুর্শিদাবাদ থেকেও ধৃতের সব তথ্য সংগ্রহ করবে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত কি তথ্য উঠে আসে।;
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ফের সোস্যাল মিডিয়াতে দেশ বিরোধী পোস্টের দায়ে জেলায় গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটল। রাইপুরের পর এবার একই অভিযোগে বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়ায় মুর্শিদাবাদের এক যুবককে পাক পতাকার ওপর দাঁড় করিয়ে কান ধরে উঠবোস করিয়ে পুলিশের হাতে হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় জনতা। আর এই কাজে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন এখানকার স্থানীয় বিজেপির কর্মী,সমর্থক ও কার্যকর্তারা। স্থানীয় বিজেপি নেতা গোবিন্দ ঘোষ বলেন,মুর্শিদাবাদ থেকে আসা ওই ফেরিওয়ালা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ভারত বিরোধী বিভিন্ন ছবি ও লেখা পোস্ট করার পাশাপাশি,পাকিস্তানের সমর্থনেও কিছু পোস্ট করে সে।এই ঘটনা নজরে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে তাকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতে তোলে।
এদিকে,পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ধৃত ইমরান সেখ ওরফে সম্রাট মুর্শিদাবাদের চাঁদপাড়া রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা। সে কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে বড়জোড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। এবং এলাকায় মোটর বাইকে চড়ে জামা - কাপড় ফেরি করত। একজন ফেরিওয়ালা হয়ে কিভাবে সোস্যাল মিডিয়াতে এত বেশী এক্টিভ থাকত সে, এবং ভারত বিরোধী পোস্ট ও পাকিস্তানের সমর্থনে লাগাতার পোস্ট করত,তা স্থানীয়দের নজরে পড়তেই তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এলাকার মানুষ। এমনকি, পাকিস্তানের পতাকার ওপর দাঁড় করিয়ে কান ধরে উঠবোসও করানো হয়। তারপর তুলে দেওয়া হয় বড়জোড়া থানার পুলিশের হাতে। পুলিশ সোমবার ধৃতকেে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তুললে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ এই ১০ দিন ধৃতকে ম্যারাথন জেরা করবে বলে সুত্রের খবর।
প্রসঙ্গত,জেএমবি ( জামাত -উল- মুজাহিদীন বাংলাদেশ) তাদের কার্যক্রম এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিস্তার করার কাজে লেগে আছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম,দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো কিছু জেলায় তাদের স্লিপার সেল সক্রিয় আছে। এবার বাঁকুড়ার মতো জেলায় তারা কি সক্রিয় হতে চাইছে? এমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার নয়? আর বড়জোড়া বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চল তো বটেই পাশাপাশি এখান থেকে দুর্গাপুর শিল্পনগরীর দুরত্বও হাতের নাগালে। তাই বড়জোড়াকে কেন্দ্র করে দক্ষিনবঙ্গের শিল্পাঞ্চল জুড়ে জেএমবি কি মুর্শিদাবাদের সদস্যদের নিয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে? এই প্রশ্নও উঠছে? এসবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের সাথে আদৌ কোন জঙ্গি যোগ আছে কিনা তা জানতে মুর্শিদাবাদ থেকেও ধৃতের সব তথ্য সংগ্রহ করবে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ তা বলাই বাহুল্য।
এখন দেখার পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত কি তথ্য উঠে আসে।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇