শিল্পী যামিনী রায়ের জন্ম দিন আসে আর যায়, শিল্পীর বাস্তু ভিটে সংষ্কারের উদ্যোগ আজও অধরা।

Update: 2021-04-12 04:41 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আরও একটা জন্ম জয়ন্তী পার হলেও শিল্পী যামিনী রায়ের বাস্তু ভিটের সংষ্কারের প্রতিশ্রুতি আজও পুরণ হল না। বাঁকুড়ার এই কৃতি সন্তানের বেলিয়াতোড়ের জন্ম ভিটে অনাদরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এমনকি ১১ এপ্রিল শিল্পীর জন্মদিনে পালনও এই বাস্তু ভিটেতে ব্রাতই ছিল।যামিনী রায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান পর্যন্ত করা হয়নি। আগাছায় ভরে গেছে এই বাড়ী। খসে পড়ছে পলস্তরা। অথচ এই বাড়ীতেই শিল্পীর জীবদ্দশার নানা স্মৃতি জড়িয়ে আছে।


 এখানে শিল্পীর আঁকা ছবির ও শিল্পকর্ম দিয়ে আর্ট গ্যালারি বা শিল্পী যামিনী রায়ের সৃজনের সংগ্রহশালা করে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা যেত। কিন্তু সেসব আধরাই থেকে গেছে। সেই বাম আমল থেকে হচ্ছে,হবের ঢক্কানিনাদ আজ মা,মাটি,মানুষের সরকারেও সমান তালে বেজে চলেছে।


  কোন উদ্যোগ নেই কেন্দ্র সরকারেরও।আর এখানকার সাংসদরাও এই নিয়ে লোকসভায় কোন প্রশ্ন তোলেনা না! ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় বিষয়টা উত্থাপিত হয়নি! তা, হলে হয়তো কোন উদ্যোগ নেওয়া হত৷ কিন্তু শিল্পীর মৃত্যুর পর থেকে বেলিয়াতোড়ের এই বাড়ী তিলে,তিলে নষ্ট হতে বসেছে। বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দারাও চান এই বাড়ীকে 'হেরিটেজ' ঘোষণা করেএখানে যামিনী রায়ের নামে আর্ট গ্যালারি গড়ে,শিল্পীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিক সরকার।


 ভারতের মর্ডান আর্টে পট চিত্রের আঙ্গিকের মেল বন্ধনে যামিনী রায় তার শিল্পে এক স্বতন্ত্র ধারার সৃষ্টি করেছিলেন।তার শিল্পে বেলিতাতোড় থেকে কালীঘাটের পট চিত্রের প্রভাব বাংলার শিল্পকলাকে সমৃদ্ধ করেছিল। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুযোগ্য শিষ্য যামিনী রায় তার শিল্প সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৫৪ সালে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পুরষ্কারে ভূষিত হন।১৯৫৫ সালে পান ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার। ১৯৫৬তে পান ডিলিট।

 বাঁকুড়ার এই কৃতি বরনীয় ও স্মরণীয় শিল্পীর বাস্তু বাড়ী কেন আজও অবহেলিত তা নিয়ে ফের শিল্পীর ১৩৪ তম জন্ম দিবসে (জন্মঃ ১১ এপ্রিল, ১৮৮৭ সাল) প্রশ্ন উঠল! এখন দেখার আসছে বছর এই প্রশ্নের অবলুপ্তি ঘটে কিনা? আদৌ সরকারের টনক নড়ে কিনা? তার জন্য না হয় আরও একটা বছর অপেক্ষা করা যাক!

👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇

Full View




Tags:    

Similar News