দ্বিতীয় বিয়ে কান্ড!বাঁকুড়া আদালতে এসেও আত্মসমর্পণ করা গেল না চন্দনার,ফের বারাসতে বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাকে।

Update: 2021-09-02 12:32 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল গত ১৯ আগষ্ট।বাড়ী থেকে পালিয়ে চালক তথা বিজেপির স্থানীয় কার্যকর্তা কৃষ্ণ কুন্ডুকে বিয়ে করে মাঝ রাতে গঙ্গাজল ঘাটি থানায় আশ্র‍য় নিয়েছিলেন চন্দনা দেবী। তারপর তিনি এই বিয়ে কাণ্ডের জেরে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন। কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রূম্পা দেবী গঙ্গাজলঘাটি থানায় শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি ও স্বামী কৃষ্ণ কুন্ডুর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। রূম্পা দেবী সেই অভিযোগে লেখেন, স্বামী কৃষ্ণ ও চন্দনা দলের কাজে একসাথেই থাকত। এবং তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং তারা বিবাহিত হওয়া স্বত্বেও গোপনে পালিয়ে বিয়ে করেছে। এমনকি এই ঘটনার জেরে স্বামী ও চন্দনা তাকে নানা হুমকীও দিচ্ছেন। পাশাপাশি তার ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগ তোলেন।

 এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ অর্থাৎ বধু নির্যাতন,৪৯৪ অর্থাৎ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং ৫০৬ অঅর্থাৎ হুমকী প্রদর্শন এই নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে। সেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিধায়ক চন্দনা বাউরি বাঁকুড়া জেলা আদালতে এদিন আত্মসমর্পণ করতে আসেন।


 কেন্দীয় বাহিনীর প্রহরায় এদিন আদালতে পৌঁছান তিনি।কি ন্তু চন্দনা দেবী যেহেতু একজন বিধায়ক তাই তিনি জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন না। এমনটাই নিয়ম রয়েছে। বিধায়কদের জন্য বারাসাতে বিশেষ আদালত রয়েছে। সেখানেই  এই মামলায় আত্মসমর্পণ করতে হবে তাকে। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সজল বারিক। অন্যদিকে, চন্দনা দেবীর আইনজীবী লোকেশ মুখোপাধ্যায় জানান, যেহেতু বাঁকুড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করার উপায় নেই, তাই আত্মসমর্পণের আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবং বারাসাত আদালয়ে ফের চন্দনা দেবী এই মামলায় আত্নসমর্পণ করবেন।

এদিকে,এই মামলায় একই ভাবে অভিযুক্ত রয়েছে কৃষ্ণ কুন্ডুও। যদিও সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাকে সুস্থ করে তোলার জোর লড়াই চালাচ্ছেন তার স্ত্রী রূম্পা দেবী। আইনের নিয়মে সেই রুম্পা দেবীর করা অভিযোগের জেরে কৃষ্ণকেও আদালতের কাঠ গোড়ায় উঠতে হবে।করতে হতে পারে আত্মসমর্পণও। এখন দেখার এই ক্ষেত্রে রুম্পা দেবী কি ভুমিকা নেন?

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News